সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের অমতে বিয়ে করেছে মেয়ে। সেই রাগে দুই মেয়ে-সহ নিজের পরিবারের ৭ সদস্যকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল বাবা। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশে। ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি ও তার ছেলে।
‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপোর্ট’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তের নাম মনজুর হুসেন। তার মেয়ে ফৌজিয়া বিবি ২০২০ সালে বিয়ে করেন মেহবুব আহমেদকে। কিন্তু সেই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি বিবির বাবা মনজুর। আর তাই চরম পথ বেছে নেয় অভিযুক্ত। আগুন লাগিয়ে দেয় বাড়িতে।
[আরও পড়ুন:আফগান বিপর্যয়ের জের, ইস্তফা দিলেন বিশেষ মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদ]
জামাই মেহবুব আহমেদ অবশ্য ঘটনার সময়ে বাডিতে ছিলেন না বলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ”মুলতানে ব্যবসার কাজে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার সময় আচমকাই দূর থেকে আগুনের শিখা দেখতে পাই। সেই সময়ই সেখান থেকে মনজুর হুসেন ও সাবির হুসেনকে পালিয়ে যেতে দেখি।” তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘অনার কিলিং’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ইতিমধ্য়েই দুই অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে পুলিশ অফিসার আবদুল মাজিদ জানিয়েছেন, এই ঘটনার মূলে রয়েছে দুই পরিবারের মধ্যে থাকা শত্রুতার ইতিহাস। মনজুর হুসেন চায়নি শত্রুর পরিবারে বিয়ে করুক মেয়ে। কিন্তু বিবি ও মেহবুবের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপরই তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে পরিবারের অমতে বিয়ে করে ফেলেন দু’জনে। তখন থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পোষণ করতে থাকে অভিযুক্ত।
একই বাড়িতে সপরিবারে থাকতেন দুই বোন ফৌজিয়া বিবি ও খুরশিদ মাই। ঘটনার দিন সেখানে হাজির হয় মনজুর হুসেন। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। সেই আগুনেই ঝলসে মারা যান খুরশিদ, খুরশিদের স্বামী ও তাঁদের চার নাবালক সন্তান, ফৌজিয়া বিবি ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তান।