সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে চা না পেলে যেন দিন শুরুই হয় না। কিন্তু পাক সরকারের নতুন নির্দেশ, বেশি পরিমাণে চা খাওয়া চলবে না। পাকিস্তানের (Pakistan) আর্থিক পরিকাঠামো প্রায় ভেঙে পড়েছে। সেই কারণেই সেদেশের মন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত চা খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। সারাদিনে সাকুল্যে এক-দুই কাপ চা (Tea) খাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে আরও জানিয়েছেন, রাত সাড়ে আটটার মধ্যে সব দোকান বন্ধ করে দিতে হবে। দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতেই এই ঘোষণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের মন্ত্রী (Pakistan Minister) আহসান ইকবাল বলেছেন, “চা খাওয়া কমিয়ে দিলে বিদেশ থেকে আমদানির পরিমাণ কমে যাবে। তাতে উন্নতি হবে দেশের অর্থনীতির।” তিনি আরও বলেছেন, “আমরা দেনা করে চা আমদানি করি। তাই দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য দিনে এক বা দুই কাপের বেশি চা খাওয়া চলবে না।”
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে আমেরিকার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক ভারতের, হাজির কোয়াডের সদস্যরা]
সবচেয়ে বেশি পরিমাণ চা আমদানি করে পাকিস্তান। গত অর্থবর্ষে প্রায় ষাট কোটি টাকা মূল্যের চা আমদানি করেছে শাহবাজ শরিফের দেশ। কিন্তু সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ হু হু করে কমে গিয়েছে। তাই যথাসম্ভব কম দ্রব্য আমদানি করতে চাইছে পাকিস্তান। দেশে কয়লা মজুত করা নেই, তা সত্ত্বেও আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
পাক মন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়ে যায়। চা খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে কি আদৌ উন্নতি হবে দেশের অর্থনীতির? সেই প্রশ্নও তুলছেন নেটিজেনরা। পাকিস্তানের অর্থনীতি একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির হার ১৩.৮ শতাংশে পৌঁছেছে। যার ধাক্কায় খাদ্য সংকটও শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছেছে। সদ্য গদিহারা ইমরান আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবার খিদের জ্বালায় আরও জ্বলতে হবে সাধারণ পাক নাগরিকদের। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে।