সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রবিবার শপথগ্রহণ করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখনও পর্যন্ত বহু রাষ্ট্রনেতাই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মোদির শপথগ্রহণে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, মুইজু-সহ সাতজন রাষ্ট্রনেতা। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান এখনও অভিনন্দন বার্তাটুকুও পৌঁছে দেয়নি ভারতকে। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলল ইসলামাবাদ। কেন এখনও মোদিকে অভিনন্দন জানায়নি, সেই প্রসঙ্গের পাশাপাশি ফের কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরল তারা।
পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জহরা বালোচ শনিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ''আমরা ওদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।'' সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, যেহেতু এখনও নতুন সরকার শপথগ্রহণও করেনি, তাই এখনও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দনের বিষয়ে বিবেচনা করাটা নেহাতই 'অকালীন' হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে তিনি জানান, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে আলোচনার পক্ষপাতী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা-সহ সমস্ত অমীমাংসিত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে গঠনমূলক আলাপ-আলোচনার কথা বলছি।''
[আরও পড়ুন: ‘হেরো’ বিজেপিকে পুরনোদের কথা মনে করালেন দিলীপ, তথাগতর তোপ RSS নিয়ে]
বলে রাখা ভালো, পাকিস্তান আলোচনার কথা বললেও ভারত কিন্তু বার বার পরিষ্কার করে দিয়েছে সন্ত্রাস বন্ধ না করলে কোনও আলোচনা নয়। এবছরের গোড়ার দিকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছিলেন, ''আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার দরজা কখনও বন্ধ করিনি। কিন্তু কথা হচ্ছে, কীসের আলোচনা? যদি ওখানে সন্ত্রাসবাদীদের বহু শিবির থেকেই যায়, তাহলে সেটাই তো কথোপকথনের মূল বিষয় হওয়া উচিত।''
প্রসঙ্গত, আগামী ৯ জুন রবিবার রাষ্ট্রপতিভবনে শপথ নেবেন মোদি (PM Modi)। জানা গিয়েছে, সেদিন মেগা সেলিব্রেশনের আয়োজন করতে চলেছে বিজেপি। ওইদিন উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, নেপালের পুষ্পকমল দাহাল, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ যুগনাথের। এছাড়াও বিশেষ এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ গিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার কাছেও।