সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অধিকৃত উত্তরাঞ্চলের গিলগিট-বাল্টিস্তানকে দেশের পঞ্চম প্রদেশ করতে চান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran khan)। তবে তাঁর সিদ্ধান্তে খুশি নন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর নিশ্চিত করতে চিনের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছেন ইমরান।
ইমরানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, মৌলানা ফজলুর রহমান-সহ (Fazal-ur-Rehman) অন্য বিরোধী নেতারা এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। জামিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের নেতা ফজলুর বলেছেন, গিলগিট-বালটিস্তান অঞ্চলকে পূর্ণ প্রদেশের মর্যাদা দিলে সেটা হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত এলাকা করার সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেওয়া। গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ফজলুর বলছেন, তিনি কাশ্মীর ভাগ হতে দেবেন না। পাকিস্তান পিপলস পার্টির পাক অধিকৃত কাশ্মীর বিভাগের প্রধান লতিফ আকবরও বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইতিমধ্যেই গিলগিট-বাল্টিস্তান নিয়ে ইমরানের ডাকা সর্বদল বৈঠক বয়কট করেছে বিরোধীরা। আসলে বিরোধীদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় ভোট হলে পাক সেনা তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এবং ইমরানের দলকে সুবিধা দিয়ে দিতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: ISIS জঙ্গিদের হুমকির জের, আফগানিস্তান ছাড়ছেন শিখ ও হিন্দুরা]
ইমরান অবশ্য নিজের অবস্থানে অটল। ১৫ নভেম্বর গিলগিট-বাল্টিস্তানে (Gilgit-Baltistan)বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা করেছেন তিনি। স্বাধীনতার পর থেকেই ওই বিরোধপূর্ণ অঞ্চল ‘অবৈধ’ ভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। কিন্তু ওই এলাকা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বছর দুই আগে দিল্লির এই দাবিতে সিলমোহর দিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টও। পাকিস্তান যেহেতু ওই এলাকা জবরদখল করে রেখেছে, সেহেতু সেখানে নির্বাচন করানোর অধিকার পাক সরকারের নেই। তা সত্বেও কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ওই এলাকায় নির্বাচন করানোর নির্দেশ দেয়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সংবিধান অনুসারে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে পাক অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করতে হয়। শুধু তাই নয়, ‘পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্যের’ শপথও নিতে হয় বাসিন্দাদের। নির্বাচন ঘোষণা করে আসলে গিলগিট-বাল্টিস্তান এলাকার চরিত্র বদলাতে চাইছে পাকিস্তান। আর সেটা বুঝতে পেরেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দিল্লি।
The post বেআইনিভাবে গিলগিট-বাল্টিস্তানে ভোট ঘোষণা! নিজের দেশেই চাপে ইমরান appeared first on Sangbad Pratidin.