সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের হিন্দু নাগরিকদের দিওয়ালির (Diwali 2020) শুভেচ্ছা জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। আজ টুইট করে তিনি লেখেন, “আমাদের সমস্ত হিন্দু নাগরিককে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাই।” সম্প্রতি পাকিস্তানে (Pakistan) রাষ্ট্রের সমর্থনে সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এই পরিস্থিতিতেই এদিন পাক প্রধানমন্ত্রীকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের টুইট করে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেল।
সরকারি হিসেবে পাকিস্তানে ৭৫ লক্ষ হিন্দু বাস করেন। যদিও বেসরকারি মতে, সংখ্যাটা ৯০ লক্ষেরও বেশি। এঁদের অধিকাংশই বাস করেন সিন্ধ প্রদেশে। পাকিস্তানি চ্যানেল ‘জিও টিভি’ অনুসারে, সেদেশের হিন্দু সম্প্রদায় আলোর উৎসব দিওয়ালি পালনের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। নিজেদের বাড়ি ও মন্দির আলোয় সাজানো হচ্ছে। মন্দিরে বিশেষ পুজো ও তার পরে প্রসাদ বিতরণের পরিকল্পনাও করা হয়েছে। কেবল করাচি বা লাহোরই নয়, প্রতিবেশী দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরই মেতে উঠতে চলেছে দিওয়ালি পালনে।
[আরও পড়ুন: অবশেষে ট্রাম্পের গলায় ‘পরাজয়ের সুর’, আত্মবিশ্বাসে ফাটল বিদায়ী প্রেসিডেন্টের!]
এদিকে পাকিস্তানে কেবল হিন্দুই নয়, শিখ ও খ্রিস্টানদেরও হত্যা, ধর্ষণ ও জোর করে ধর্মান্তকরণ করার ঘটনা আকছারই ঘটছে। পাশাপাশি, মুসলিম হলেও আহমদিয়া, হাজারা-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু ইসলামিক গোষ্ঠীগুলিও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের কাছে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার আরজি জানান প্রধানমন্ত্রী জনসন। তিনি বলেন, ‘‘আমি পাক সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন রাষ্ট্র সমর্থিত নিপীড়ন বন্ধ করে।”
কিছুদিন আগে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেছে জেনিভার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইউএন ওয়াচ’ও। রাষ্ট্রসংঘের কাজকর্মের উপর নজরদারিতে লিপ্ত এই সংগঠনটির বক্তব্য, যেভাবে পাকিস্তানে খ্রিস্টান, হিন্দু ও আহমেদিয়া মুসলিম-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার হচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হিসেবে পাকিস্তানকে মেনে নেওয়া যায় না।