সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ভারতীয় নাগরিক হামিদ আনসারিকে মুক্তি দিল পাকিস্তান। ২০১২ সালে তাঁকে ভারতীয় চর সন্দেহে আটক করা হয়। পাকিস্তানের জাল আইকার্ড দেখানোয় ২০১৫ সালে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সে দেশের আদালত। গত বৃহস্পতিবার পেশোয়ার হাইকোর্ট পাকিস্তানের মন্ত্রককে নির্দেশ দেয়, একমাসের মধ্যে সব কাগজপত্র তৈরি করে হামিদকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
[‘রাহুল পাপ্পু নয়, এবার বিয়ে করে পাপা হওয়া উচিত’, পরামর্শ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল বলেন, “শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে আনসারির। তাঁকে দেশে পাঠানো হবে।” তিনি আরও দাবি করেন, “বেআইনি উপায়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিল ভারতীয় চর। তার কাছে জাল নথিপত্র ছিল।” ২০১২ সালে মুম্বইয়ের বাসিন্দা হামিদ আনসারির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক পাকিস্তানি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান ঢোকেন আনসারি। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ও কোহাটের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘদিন খুঁজে না পেয়ে মুম্বইয়ে হামিদ আনসারির মা পাক আদালতে পিটিশন ফাইল করেন। হাই কোর্ট জানায়, পাকিস্তান সেনা ও মিলিটারি কোর্টের বিচারাধীন রয়েছেন হামিদ আনসারি।
[গুগলে ‘ভিখারি’ লিখে সার্চ করলেই আসছে ইমরান খানের ছবি]
মেয়াদ শেষ হলেও তার মুক্তির কোনও উদ্যোগ দেখায়নি পাকিস্তান। পেশোয়ার হাই কোর্টের দুই বিচারপতি রোহুল আমিন ও কালাদার আলি খানের কাছে মুক্তির আবেদন করেন আনসারি। তাঁর আইনজীবী কাজি মহম্মদ আনোয়ার আদালতে জানান, মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও আনসারিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। বিচারপতি কালাদার আলি খান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বন্দিকে মুক্তি দেওযা হয়নি কেন। মন্ত্রকের এক অফিসার আদালতে জানান, ভারতের ফেরার আইনি নথি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত একমাস বন্দিকে জেলেই রাখা হয়। সব জানার পর পেশোয়ার হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, একমাসের মধ্যে কাগজপত্র তৈরি করে হামিদ আনসারিকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।