সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক দিক থেকে চরম অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাড়ার প্রায় শূন্য। কার্যত ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বন্ধু মনোভাবাপন্ন দেশগুলির কাছে হাত পাততে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই হজযাত্রীদের ভরতুকি দেওয়া বন্ধ করতে চলেছে পাকিস্তান। পাক সরকারের হিসেব অনুযায়ী, এতে সরকারের প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা বেঁচে যাবে।
[ইসরোর সাফল্য, মুমূর্ষু ‘ইনস্যাট’-এর জায়গা নিচ্ছে জি স্যাট-৩১ ]
পাকিস্তানের ধর্ম ও সম্প্রীতি সংক্রান্ত বিষয়ের মন্ত্রী নূরুল হক কাদরি জানিয়েছেন, আগের নওয়াজ শরিফ সরকার হজযাত্রীদের মাথাপিছু ৪২ হাজার টাকা করে ভরতুকি দিত। যাতে রাজকোষ থেকে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা বেরিয়ে যেত। কিন্তু এবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই ভরতুকি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে, রাজকোষের ঘাটতির পরিমাণ কমবে। তিনি আরও জানান, এবছর প্রায় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার মানুষ পাকিস্তান থেকে হজযাত্রা করবেন। এদের মধ্যে সরকারি ভরতুকিতে যাত্রা করবেন প্রায় ১ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ। ব্যক্তিগত খরচে যাবেন বাকিরা। পাকিস্তানের ওই মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের হজে ভরতুকি বাবদ খরচ আশেপাশের দেশগুলির তুলনায় সবচেয়ে কম ছিল। আমার মন্ত্রক চাইছিল না, হজে ভরতুকি বন্ধ হোক। কিন্তু আর্থিক অনটনের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে।”
[পোপ-ইমামের পবিত্র চু্ম্বন, নজিরবিহীন বিশ্বশান্তির বার্তা দুই ধর্মীয় গুরুর]
ইমরানের দেশের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, এখন বৈদেশিক মুদ্রার জন্য বিদেশে গাধা রপ্তানি করতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। সম্প্রতি, ইমরান খান সাহায্যের জন্য চিনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁকে, হতাশ করেননি ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ শি জিংপিং। পাকিস্তানকে প্রায় ৪২০ লক্ষ বিদেশি মুদ্রা দিয়ে সহযোগিতা করেন তিনি। তারই পরিবর্তে এবার গাধা রপ্তানির পরিকল্পনা পাকিস্তানের। পাকিস্তানের এই মুহূর্তে রপ্তানিযোগ্য পণ্য তেমন নেই। তবে, গাধার সংখ্যার বিচারে বিশ্বে তৃতীয় পাকিস্তান। চিনে গাধার চাহিদাও চরম। ড্রাগনের দেশে গাধার চামড়া এবং লোম থেকে নানারকমের ওষুধ তৈরি হয়। পাকিস্তানের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চিনের একাধিক সংস্থা পাকিস্তানি গাধা কেনার ব্যপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। এবং আগামিদিনে তারা আরও বিনিয়োগ করতে রাজি।