সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা FATA’র রোষ থেকে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। তাই এবার জামাত-উদ-দাওয়ার তিন শীর্ষ নেতাকে সন্ত্রাসে অর্থ যোগানের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করল পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত। ওই লস্কর-ই-তইবার নাম বদলে তৈরি হওয়া জামাত-উদ-দাওয়ার ওই তিন নেতা হল হাফিজ সইদ ঘনিষ্ঠ ও সংগঠনের ডেপুটি আবদুল রহমান মাক্কি, জাফর ইকবাল ও সংবাদমাধ্যম বিভাগের প্রধান ইয়াইয়া মুজাহিদ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত লাহোরের একটি সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালতে ওই জঙ্গি নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba)’র সামাজিক মুখ হিসেবে তৈরি হওয়া জামাত-উদ-দাওয়া (Jamaat-ud-Dawa) বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর আড়ালে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে। ত্রাণ বিলির নাম বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে অর্থ যোগাচ্ছে। এর জন ২০১৮ সাল থেকেই তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছিল। পরে তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। বুধবার সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ওই তিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
[আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা, ভারতে আসছেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী]
এপ্রসঙ্গে এই মামলার সরকারি আইনজীবী আবদুর রউফ ওয়াট্টু বলেন, ‘জামাত-উদ-দাওয়ার তিন শীর্ষ নেতা সন্ত্রাসে অর্থ যোগানের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আশা করা যায়, মুজাহিদ ও মাক্কিকে ৬ মাস করে ও ইকবালকে ১৫ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলা ছাড়াও ওই তিন জনের নামে একাধিকা সন্ত্রাসবাদী ঘটনায় অর্থ যোগানের অভিযোগ রয়েছে।’
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও সন্ত্রাসে অর্থ যোগানের অভিযোগে অনেক জঙ্গি নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে পাকিস্তানের বিভিন্ন আদালত। কিন্তু, কোনও ক্ষেত্রেই উপযুক্ত কোনও শাস্তি পায়নি দোষীরা। এমনকী অনেক ক্ষেত্রে তাদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নামে বাড়িতেই থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে ইমরান খানের সরকার। খোদ লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এই তিন নেতার ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা ঘটবে।