সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে সবাই প্রফেসর নামে ডাকে। ইংল্যান্ডে খেলার সময় এক এজেন্ট তাঁকে এই নামে ডাকা শুরু করেন। পরে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন ক্রিকেটার রামিজ রাজা ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে এই নামেই তাঁকে ডাকেন। সেই ‘প্রফেসর’ মহম্মদ হাফিজ (Mohammad Hafeez) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েই ফেললেন।
পাক দলের দুই বর্ষীয়ান তারকা ক্রিকেটার মহম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিককে (Shoaib Malik) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন ছিল। কবে এই দুই ক্রিকেটার ব্যাট-প্যাড তুলে রাখবেন, তা নিয়ে ভক্তরাও প্রশ্ন তুলতেন। হাফিজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করে ফেললেও এখনই অবশ্য ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন না। পিএসএল, এলপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। উল্লেখ্যে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ওশিয়ানিয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলেন এটিকে মোহনবাগানের রয় কৃষ্ণ]
টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাফিজ। ২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। সীমিত ওভারের কেরিয়ারকে দীর্ঘায়িত করার জন্যই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন হাফিজ। ২০০৩ সালে অভিষেক ঘটে হাফিজের। ২১৮টি ওয়ানডে খেলেন তিনি। ৬৬১৪ রান করেন হাফিজ। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ১৩৯ টি উইকেটের মালিক তিনি। ১১৯টি টি-টোয়েন্টিতে ২৫১৪ রানের মালিক হাফিজ। তাঁর ঝুলিতে ৬১টি উইকেট। ৫৫টি টেস্টে ৩৬৫২ রান করেন হাফিজ।
এই ৪১ বছর বয়সেও তিনি যা পারফরম্যান্স করতেন তা অনেক তরুণ ক্রিকেটারও করতে পারতেন না। সেই প্রফেসরকে জাতীয় দলের জার্সিতে আর সীমিত ওভারের ফরম্যাটে খেলতে দেখা যাবে না। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা চালিয়ে যাবেন মহম্মদ হাফিজ। তিনি অবসর নেওয়ায় পাক ক্রিকেটে শূন্যতা তৈরি হল।
[আরও পড়ুন: রনজি ট্রফির আগে করোনার থাবা বঙ্গ ক্রিকেটে! ক্রিকেটার, স্টাফ-সহ আক্রান্ত ৭]