সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে (Siddhivinayak temple) ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। চাপে পড়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পাশাপাশি মন্দিরটি দ্রুত মেরামতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেইমতো পাঞ্জাব প্রদেশের ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরটি ফের সারিয়ে স্থানীয় হিন্দুদের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাব প্রদেশের সাদিকাবাদ জেলার ভঙ্গ শরিফ গ্রামের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরের ভিতরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সোশ্যাল মিডিয়ার উসকানিমূলক পোস্ট থেকে উত্তেজিত হয়ে লোহার রড, লাঠি, পাথর হাতে দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে চড়াও হয় ওই মন্দিরে। শুরু হয় ভাঙচুর।
পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত সে দেশের পুলিশ-প্রশাসনকে তুলোধনা করে। বিচারপতি বলেন, “হিন্দু মন্দিরে হামলা দেশের পক্ষে লজ্জাজনক। অথচ এ ধরনের ঘটনা দেখার পরও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে পুলিশ।” হামলার তীব্র নিন্দা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রকও। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের মন্দিরে এই ধরনের হামলার ঘটনার কড়া নিন্দা করছে ভারত। তিনি বলেন, ”এই নিন্দনীয় ঘটনা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও তাঁদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের উপরে ক্রমাগত হামলায় আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”
[আরও পড়ুন: ‘এটা ওদের লড়াই’, তালিবানি আগ্রাসনের মুখে ‘বন্ধু’ আফগানিস্তানের হাত ছাড়ল America!]
এরপরই টুইট করে হামলার কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায় ইমরানকে। সেই সঙ্গে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাসও দেন তিনি। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ”ভঙ্গের গণেশ মন্দিরে হওয়া হামলার তীব্র নিন্দা করছি। ইতিমধ্যেই আমি পাঞ্জাবের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছি সমস্ত দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করতে এবং পুলিশের গাছাড়া মনোভাবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে। সরকারের তরফেই মন্দির ফের গড়ে দেওয়া হবে।”
শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে কথা রাখলেন ইমরান খান। ভাঙার পাঁচদিনের মধ্যেই সেটি সম্পূর্ণ মেরামত করে তা তুলে দেওয়া হল হিন্দুদের হাতে। এর আগেও বহুবার পাকিস্তানের নানা মন্দিরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত মার্চেই পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে একশো বছরের পুরনো এক মন্দিরে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল।