সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ ২৬/১১ মুম্বই হামলায়র শেকড় পাকিস্তানেই এবং পাক ভূখণ্ড পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমিতে। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের এই মন্তব্যে কিছুদিন আগেই চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল পাকসেনাকে। নড়েচড়ে বসে পরবর্তি পরিকল্পনা ঠিক করতে জরুরী বৈঠক ডেকেছিলেন রাওয়ালপিণ্ডির হর্তাকর্তারা । এমন পরিস্থিতিতে পাক সন্ত্রাস, লস্কর-ই-তইবার প্রধান তথা মুম্বই হামলার মূলচক্রি হাফিজ সইদকে নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকা। পাশপাশি জানিয়ে দিল সন্ত্রাসবাদের বিরোধীতায় সর্বদা ভারতের পাশে রয়েছে ওয়াশিংটন।
[বিশুদ্ধ জল পেতে নয়া উদ্যোগ রেলের, ট্রেনের কামরায় বসছে ওয়াটার পিউরিফায়ার]
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানান হয়েছে, লস্কর-ই-তইবা প্রধান কেবল ভারত নয় ওয়াশিংটনের পক্ষেও অত্যন্ত চিন্তার বিষয় এবং সেক্ষেত্রে নয়াদিল্লির সঙ্গে সর্বদা একসঙ্গে কাজ করবে ওয়াশিংটন। কারণ কেন্দ্রের মোদি সরকারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের। হাফিজ সইদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টিকেও যে হালকা ভাবে নিচ্ছে না মার্কিন প্রশাসন তাও নিজেদের বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছে আমেরিকা। তারা জানিয়েছে, এমন একজন কুখ্যাত ব্যক্তির উন্মুক্ত ভাবে ঘুরে বেরানো অত্যন্ত বিপদজ্জনক।
[সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা বিজেপির, কর্ণাটকে আস্থা ভোটের নির্দেশ শনিবার]
একটি পাক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গত সপ্তাহে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসের আঁতুরঘর পাকিস্তান। পাক সেনার মদতেই দেশে বেড়ে উঠছে জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি গোষ্ঠী। পাশাপাশি তিনি এও স্বীকার করে নিয়েছিলেন, ২০০৮-এর মুম্বই হানায় সরাসরি মদত রয়েছে পাকিস্তানের। মাসুদ আজহার, হাফিজ সইদের মতো রাষ্ট্রসংঘের কালো তালিকাভুক্ত জঙ্গি নেতাদের আস্তানা দিচ্ছে দেশের প্রশাসন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ বরাবরই তুলে আসছে ভারত। এবার, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে ভারতের এই অভিযোগ মান্যতা পাওয়ায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছিল পাকসেনা ও প্রশাসন। এরপরেই নওয়াজ শরিফের মন্তব্য খণ্ডনে তড়িঘড়ি ন্যাশনাল সিকিউরিকি কমিটির বৈঠক ডেকে বসলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আব্বাসি।