সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদ ভবনের জরুরি নথি কেটে সাফ করে দিচ্ছে ওরা। ফলে শিকারি বিড়ালের খোঁজ শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে সেই ব্যবস্থাও হয়েছে। আসলে ধেড়ে ইঁদুরের উপদ্রবে তছনছ পাকিস্তানের সংসদ। সেই উৎপাত থেকে বাঁচতে ১২ লক্ষ পাকিস্তানি রূপি (ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার কিছু বেশি) বরাদ্দ করা হচ্ছে বেড়াল বাহিনীর পিছনে। কয়েক দিনের মধ্যেই ইঁদুরের বংশ ধ্বংসে পাক সংসদে বেড়াল ছাড়া হবে, জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
পাক সংবাদমাধ্যগুলি জানাচ্ছে, পড়শি দেশের সংসদে ভবনে ইঁদুরের বাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও কম্পিউটারের তারও কেটে ফেলছে ধেড়ে এবং নেংটিরা। জাতীয় পরিষদ ও সেনেট— সংসদের উভয় কক্ষেই একই অবস্থা। এই অবস্থায় নানাভাবে ইঁদুর শায়েস্তায় নেমেছে প্রশাসন। একদিকে যেমন ইঁদুর ধরার ফাঁদ পাতার পরিকল্পনা করা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই সংসদ ভবনে শিকারি বিড়াল ছাড়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রের রোষে যুবক থেকে বৃদ্ধ! বাংলাদেশে ৩৭ বছর কারাবাসের পর ঘরে ফিরলেন শাহজাহান]
পাক সংবাদমাধ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের একটি নথির খোঁজ পড়াতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। দেখা যায় গুরুত্বপূর্ণ ওই নথি ফর্দাফাই করে দিয়েছে ইঁদুর। আরও জানা যাচ্ছে, বিরাট ভবনের দোতলায় বিরোধী দলনেতার দপ্তরে ইঁদুরের উপদ্রব সব থেকে বেশি। রাত হলেই সেখানে ‘বিশেষ অধিবেশন’ বসায় ইঁদুরের দল। সরকারি নথি খেয়ে খেয়ে তাদের চেহারাও নাকি হয়েছে জবরদস্ত। যাদের দেখে ভয় খাবে প্রতিপক্ষ বিড়ালও। তথাপি সমস্যার সমাধানে বিড়াল দেবতাতেই ভরসা রাখছে প্রশাসন।