সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নেতৃত্বে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন আট রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। আমন্ত্রণ পেয়েও বৈঠকে অংশ নেয়নি পাকিস্তান। এবার ইসলামাবাদে বৈঠকের ডাক দিল ইসলামাবাদ। আফগানিস্তান বিষয়ক পাকিস্তানের বিশেষ দূত মহম্মদ সাদেক খানের আমন্ত্রণে বৈঠকে থাকার কথা চিন, রাশিয়া ও আমেরিকার প্রতিনিধিদের।
কাবুল সংক্রান্ত আমেরিকার বিশেষ দূত টমাস ওয়েস্ট, রাশিয়ার বিশেষ দূত জমির কাবুলভ ও চিনের বিশেষ দূত ইউ শিয়াঅং ওই বৈঠকে অংশ নেবে। বৈঠকে থাকবে তালিবানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তালিবান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালকির টুইট থেকে জানা গিয়েছে, আমির খানের নেতৃত্বে তালিবানের প্রতিনিধি দল ১০ নভেম্বর পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে। বৈঠকে অর্থনীতি, শরণার্থী সমস্য়া থেকে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে।
[আরও পড়ুন: ভারতকে চাপে রাখার কৌশল, পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক রণতরী দিল চিন]
এদিকে বুধবার রাশিয়া, ইরান-সহ বাকি ৬ রাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক করেছে ভারত। আলোচনায় ভারতের সঙ্গে সহমত হয়েছেন অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। আলোচনা শেষে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনও অবস্থাতেই আফগানিস্তানের মাটি সন্ত্রাসের জন্য ব্যবহার হতে দেওয়া যাবে না।
তালিবান আফগানভূম দখলের পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ভারতের। চাপ বেড়েছে আফগানিস্তানের সীমান্তে থাকা দেশগুলিরও। মনে করা হচ্ছে, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তালিবান। যৌথভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং ভবিষ্যতের কার্যক্রম ঠিক করতে অজিত দোভালের নেতৃত্ব বৈঠক ডেকেছিল ভারত। চিন ও পাকিস্তানকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা যোগ দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ডাকা বৈঠকে চিনের অংশগ্রহণ থেকে পরিষ্কার, আফগানিস্তান ইস্যুতে ফের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিবেশ সরগরম।
আসলে আফগানিস্তান বিষয়ে পাকিস্তানের গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায় না। একে তো আফগানিস্তানের প্রতিবেশী হিসেবে বারবার ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে তালিবানের সরকারে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকেও পাকিস্তানের গুরুত্ব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান, চিনের সঙ্গে আফগানিস্তান নিয়ে রাশিয়া, আমেরিকার বৈঠক ঘিরে জল্পনা বাড়ছে।