সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজাখস্তানে সমাপ্ত হয়েছে এসসিও সামিট। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল ভারত, চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান-সহ অন্যান্য সদস্য দেশগুলো। এবার এসসিও-র রাষ্ট্রনেতাদের নিয়ে সামিট হতে চলেছে ইসলামাবাদে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্র আসবে ভারতের কাছেও। কিন্তু সেদেশে কি পা রাখবেন মোদি?
গত ৩ ও ৪ জুলাই কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় বসেছিল এসসিও সামিটের আসর। ভারতের হয়ে সেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। একদিকে, সীমান্ত সংঘাত নিয়ে চিনের কাছে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন তিনি। অন্যদিকে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদির গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরেন জয়শংকর। নাম না করলেও এই বার্তা যে পাকিস্তানের জন্যই তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি প্রযুক্তির উন্নতি ও আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে আগামিদিনে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও বলেন বিদেশমন্ত্রী।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বৃহস্পতিবারই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত হবে এসসিও রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠক। এর পরই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় এই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কি আমন্ত্রণ জানানো হবে? উত্তরে বালোচ বলেন, "পাকিস্তানের নেতৃত্বে এই সম্মেলন আয়োজিত হবে। আর আয়োজক দেশ হিসাবে আমরা এসসিও-র সমস্ত রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানাবো। আমরা আশা করি সমস্ত সদস্য দেশ এখানে যোগদান করবে।" এদিন বালোচ আরও বলেন, "পাকিস্তান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনও ব্লকের অংশ হবে না কারণ আমরা সমস্ত দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাস করি। " প্রসঙ্গত, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, চিন, কিরঘিস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজাকিস্তান ও উজবেকিস্তান মিলিয়ে মোট ৯টি দেশ এসসিও-র সদস্য।
তবে এখন আন্তর্জাতিক মহলে একটাই প্রশ্ন পাকিস্তানে কি যাবেন মোদি? বহুদিন ধরেই ইসলামাবাদের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক আলোচনা বন্ধ রেখেছে নয়াদিল্লি। বিগত কয়েক দশক ধরে ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। লাগাতার জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে উপত্যকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। যার কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লিও। ফলে ইসলামাবাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মোদি যদি সেদেশে যান তাহলে তা উল্লেখযোগ্য বার্তা হবে। মত বিশ্লেষকদের।