সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতই বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গোলাগুলি চালাক পাকিস্তান (Pakistan), তবুও করোনা (Coronavirus) যুদ্ধে ইসলামাবাদের পাশেই দাঁড়াচ্ছে ভারত। GAVI-র সাহায্যে সাড়ে চার কোটি ভ্যাকসিনের (COVID vaccine) ডোজ পাকিস্তানকে দেবে নয়াদিল্লি। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে স্থাপিত আন্তর্জাতিক সংস্থা GAVI সারা বিশ্বজুড়ে গরিব দেশগুলিকে টিকা সরবরাহের কাজ করে। গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছিল করোনা টিকা দেওয়ার ব্যাপারে।
পাকিস্তানের জাতীয় স্বাস্থ্য সচিব আমির আশরফ খোওয়াজা জানিয়েছেন, এই মাসেই ভারত থেকে করোনা টিকা এসে পৌঁছবে তাঁদের দেশে। জুনের মধ্যে দেওয়া হবে আরও ১.৬ কোটি টিকার ডোজ। আপাতত ফ্রন্টলাইন কর্মী ও বর্ষীয়ান নাগরিকদের টিকা দেওয়া চলছে ইসলামাবাদে। চিনের দেওয়া টিকা দিয়েই চলছে টিকাকরণ। কিন্তু কেবল চিনের টিকা যে পর্যাপ্ত হবে না তা বুঝতে পেরেছে ইমরান সরকার। তাই এবার ভারতের মুখাপেক্ষী তারা।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তান ‘শান্তিপ্রিয় দেশ’! কাশ্মীর ইস্যুতে চাপে পড়ে বার্তা পাক সেনাপ্রধানের]
তবে সরাসরি ভারত এই টিকা পাঠাচ্ছে না। GAVI-র মাধ্যমে ভারতে নির্মিত করোনা টিকা পাবে পাকিস্তান। এমনিতে পাকিস্তানে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছিল দেরিতে। ভারতে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাওয়ার পরও পাকিস্তান টিকার বরাত দেয়নি কেন সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। পরে অবশ্য চিনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করে পাকিস্তান। তবে টিকাকরণ শুরু হলেও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়ে যায় গোড়া থেকেই। কেননা চিনের (China) স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে সম্পূর্ণ সবুজ সংকেত পাওয়ার আগেই সেই টিকা ব্যবহার শুরু করে দেয় ইসলামাবাদ।
এমনিতে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এই অবস্থায় ইমরানের দেশের পক্ষে টিকা কেনা খুবই সমস্যার। কয়েক দিন আগেই খোওয়াজা জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে টিকা কেনার কোনও পরিকল্পনা পাকিস্তানের নেই। তাঁদের ভরসা হার্ড ইমিউনিটি বা গোষ্ঠী অনাক্রম্যতা এবং বন্ধু দেশগুলির থেকে ‘উপহার’ হিসেবে পাওয়া টিকা।