সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি মোকাবিলায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পাকিস্তান (Pakistan)! এমনটাই দাবি করলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। জানিয়ে দিলেন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে ইসলামাবাদ। তাঁর দাবি, পাকিস্তানে সাধারণ নাগরিক থেকে নিরাপত্তা বাহিনী সকলকেই টার্গেট করছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো। আর তাদের ঘাঁটিতেই আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। তবে এর আগে গত মার্চে আফগানিস্তানে একটি হামলার কথা স্বীকার করেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু এবার তারা জানিয়ে দিল, এই ধরনের অভিযান চলবেই।
বিবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় খোয়াজাকে বলতে শোনা যায়. ''এটা সত্যিই যে, আফগানিস্তানে আমরা অভিযান চালিয়েছি। এবং আগামিদিনেই চালাব। কেক, প্যাস্ট্রি তো খাওয়াব না। হামলা করা হলে আমরাও পালটা হামলা চালাব।'' কিন্তু তালিবানকে জানিয়ে কি তাদের ভূমিতে হামলা চালাবে পাকিস্তান? এর জবাবে পাক মন্ত্রী বলছেন, ''আমরা কেন ওদের বলতে যাব, প্রস্তুত থাকো, আমরা আসছি?''
[আরও পড়ুন: ‘হিংস্র তারাই, যারা…’, রাহুলের ‘হিন্দু’ মন্তব্যে ময়দানে পয়গম্বর বিতর্কে ‘বরখাস্ত’ নূপুর]
কিন্তু কেন আফগানিস্তানে হামলা চালাতে মরিয়া পাকিস্তান? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর পিছনে রয়েছে চিনা চাপ। সাম্প্রতিক সময়ে বার বার পাক তালিবানের হামলায় পাক-চিন অর্থনৈতিক করিডরে মৃত্যু হয়েছ বহু চিনা নাগরিকের। এই হামলার পিছনে অনেকে বালোচ জঙ্গিদের দায়ী করলেও একটা বড় অংশের মত, টিটিপিই রয়েছে এই হামলাগুলোর পিছনে। এই পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের চাপে এই ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলা থেকে বাঁচতে এবার পালটা হামলার পথে হাঁটতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে।
এদিকে পাকিস্তানের এহেন মনোভাবে বেজায় চটেছে তালিবানও। ইতিমধ্যেই জেহাদিদের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে, যদি পাকিস্তান তাদের সীমান্ত পেরিয়ে আফগানভূমে ঢুকে হামলা চালায় তাহলে তার পরিণামও ভুগতে হবে তাদের। যদি খোয়াজার দাবি, তালিবানকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা টিটিপির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তাই বাধ্যতই এইভাবে 'কাবুলিওয়ালার দেশে' আকাশপথে হামলা চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের পথে যেতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণে হট্টগোল বিরোধীদের, স্লোগানের মধ্যেই দুর্নীতি-তোষণ নিয়ে সরব মোদি]
প্রসঙ্গত, আফগান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদীদের দাপট বারবার সমস্যার মধ্যে ফেলেছে পাকিস্তানকে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান অভ্যুত্থানের পর থেকেই বারবার পাক সীমান্তে হামলা চালিয়েছে তালিবান (Taliban) জঙ্গিরা। এমনকি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের সময়েও রক্তাক্ত হয়েছিল সীমান্ত এলাকাগুলো। যদিও সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে তালিবান প্রশাসন।