সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তার মাথার দাম ছিল ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার। তিন সঙ্গীর সঙ্গে সে আত্মগোপন করে ছিল আফগানিস্তানে (Afghanistan)। অবশেষে বোমা বিস্ফোরণে নিকেশ হল আবদুল ওয়ালি ওরফে ওমর খালিদ খুরাসানি নামের সেই পাক জঙ্গি। জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবানের (TTP) সঙ্গে পাকিস্তান (Pakistan) সরকারের শান্তি আলোচনা এই জঙ্গির মৃত্যুর ফলে ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
সোমবারই পাকিস্তানের তরফে আবদুলের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। তার সঙ্গে তার তিন সঙ্গীরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রবিবারের পাক সীমান্ত সংলগ্ন আফগানিস্তানের বারমাল জেলায় ওই বোমা হামলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীই ওই হামলার দায়স্বীকার করেনি। আফগানিস্তানের তালিবান সরকার বিস্ফোরণ সম্পর্কে কোনও মন্তব্যই করেনি। এমনকী টিটিপিও এই মৃত্যু নিয়ে নীরবতাই পালন করছে।
জানা গিয়েছে, আবদুল তার সঙ্গীদের সঙ্গে গাড়িতে করে যাচ্ছিল। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। পথের ধারেই গাড়ির মধ্যে পড়ে ছিল তাদের মৃতদেহ।
[আরও পড়ুন: মহামারী থেকে মুক্তির পথে দেশ, আরও নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণ, পজিটিভিটি রেট সাড়ে ৩%]
দীর্ঘ দিন ধরেই ক্রমে চওড়া হচ্ছে তালিবান-পাকিস্তান সম্পর্কের ফাটল। মূলত, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান জঙ্গিগোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আফগান তালিবানের উপর ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের মাটিতে লাগাতার নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে টিটিপি। আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনগুলি। বিশেষ করে পাকিস্তানে একাধিক হামলা চালিয়েছে টিটিপি। বারবার আলোচনায় বসেও সংগঠনটিকে অস্ত্র পরিহারে বাধ্য করতে পারেনি পাক প্রশাসন।
গত সপ্তাহেই আল কায়দার সর্বোচ্চ নেতা জওয়াহিরিকে খতম করেছে আমেরিকা। এরই মধ্যে ফের টিটিপির এক অন্যতম শীর্ষ জঙ্গি নেতার মৃত্যু হল। ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাকিস্তানে পুলিশ, সেনা, সংখ্যালঘু শিয়া মুসলমান ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে অসংখ্য হামলার। ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি যোগ আছে কিনা, সেটাই এখন দেখার। আপাতত ওই মৃত্যু ঘিরে যে টিটিপি ও পাকিস্তান সরকারের সম্পর্কের নতুন করে অবনতি হল, সেব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।