সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নানকানা সাহিব (Nankana Sahib) গুরুদ্বারে ভাঙচুরের ঘটনায় তিনদিন আগেই তিনজনকে কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে পাক (Pakistan) আদালত। গত বছরের জানুয়ারিতে গুরু নানকের জন্মস্থানে হামলা চালিয়েছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু পাকিস্তানের শিখদের (Sikh) মতে, এই অপরাধের জন্য যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত ‘লঘু’। লাহোরের আদালতের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘পাকিস্তান শিখ গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি’। সেই সঙ্গে ওই রায়কে বাতিল হিসেবে ঘোষণা করার জন্যও একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে।
লাহোরে অবস্থিত গুরু নানকের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত নানকানা সাহিব গুরুদ্বার। সেখানেই হামলা চালায় অভিযুক্তরা। সন্ত্রাসবাদী বিরোধী আইনে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ ইমরানকে ২ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা। এছাড়াও বাকি দুই অভিযুক্তকে দেওয়া হয়েছে ৬ মাসের কারদণ্ড। তারা দু’জনই ইমরানের ভাই। গত ১২ জানুয়ারি তাদের সাজা শোনানো হয়। সেই সঙ্গে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে। পুলিশের এফআইআরে জানানো হয়েছে, ইমরান চিস্তি নামের এক সরকারি কর্মচারী সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানের উদ্দেশ্যেই অভিযুক্তদের তাতিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: বিদায়বেলায় চিনকে ধাক্কা ট্রাম্প প্রশাসনের, হংকং ইস্যুতে চাপ বাড়াল ওয়াশিংটন]
আদালতের রায়ে একেবারেই খুশি নয় ইসলামাবাদের শিখ সম্প্রদায়। গতকালই পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শিখ নেতারা বৈঠক ডাকেন নানাখানা সাহিবে। সেখান থেকেই দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। প্রতিবেশী দেশের শিখ নেতা সতওয়ান্ত সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের এত ‘লঘু’ দণ্ড দেওয়ার পরে পাকিস্তানের শিখরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এর আগেও নানখানা সাহিবে মুসলিম ও শিখদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। সেবার মহম্মদ ইমরানের ছোট ভাই মহম্মদ হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল এক শিখ মহিলাকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার। বিষয় গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।