সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন সেনাপ্রধান দায়িত্ব নেওয়ার আগের দিনই বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান (Pakistan)। সেদেশের অন্যতম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (Tehrik-E-Taliban) জানিয়ে দিয়েছে, সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি আর মানবে না তারা। দেশজুড়ে এই সংগঠনের সকল সদস্যকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে রক্তক্ষয়ী হামলার জন্য সদস্যদের প্রস্তুত করছে টিটিপি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারেই দায়িত্ব নিতে চলেছেন পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Asim Munir)। তার আগেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন তিনি।
সোমবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে তেহরিক-ই-তালিবান। সেখানে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, গত পাঁচ মাস ধরে সরকারের অনুরোধে সংঘর্ষ বিরতি মেনে চলেছে তারা। কিন্তু সেই অবস্থান পালটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ আফগানিস্তানের সীমান্তে খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, মে মাসে কাবুলে দু’পক্ষের বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য সংঘর্ষবিরতি করতে রাজি হয় টিটিপি।
[আরও পড়ুন: ‘হয় স্বাধীনতা, নয় মৃত্যু’, লকডাউনের প্রতিবাদে চিনের রাজপথে হাজার হাজার মানুষ]
এই বিবৃতির পরে পাকিস্তান সরকার বা সেনার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। প্রসঙ্গত, নতুন সেনাপ্রধান হিসাবে পাকিস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে মুনিরের কাছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুনিরের উপরে চাপ তৈরি করতেই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের বিবৃতি দিয়েছে পাক তালিবান। একাধিকবার পাকিস্তানের নানা এলাকায় হামলা চালানোর ইতিহাস রয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনের। আফগানিস্তানের তালিবানের মতোই পাকিস্তানে মৌলবাদী প্রশাসন গড়ে তোলাই তাদের মূল লক্ষ্য।
ছয় বছর ধরে পাক সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনের পর অবসর নিচ্ছেন কামার জাভেদ বাজওয়া। উত্তরসূরী মুনিরও তাঁর পথেই হাঁটবেন বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। পাক তালিবানের বিরুদ্ধে বরাবর কড়া অবস্থান নিয়েছেন প্রাক্তন পাক সেনাপ্রধান। এমনকি এই সংগঠন তুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি। নয়া সেনাপ্রধান কীভাবে পাক তালিবানের মোকাবিলা করেন, সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।