সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি নম্বর থেকে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ছোট ভাইয়ের খুনিরা। বিষয়টি পুলিশকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে পাকিস্তান ছাড়ছেন সেদেশের প্রথম শিখ টেলিভিশন অ্যাঙ্কার হরমিত সিং। ঘটনাটির কথা প্রকাশ্য আসার পরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতে নিজের বিয়ের বাজার করতে গিয়ে হবু স্ত্রীর প্রেমিক ও তার এক সঙ্গীর হাতে প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হন হরমিতের ভাই রবিন্দর সিং। ঘটনাটি ঘটেছিল পেশোয়ারের (Peshawar) চামকিনি পুলিশ স্টেশনের কাছে অবস্থিত খাইবার এজেন্সির চেক পয়েন্টের কাছে। পরে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পেশোয়ার পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলার পর দোষী সাব্যস্ত করে জেল হেফাজতেও পাঠান বিচারক। আর এরপরই শুরু হয় বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনে নয়া চাল বিজয় মালিয়ার! লিকার ব্যারনকে দেশে ফেরানো নিয়ে সংশয় ]
পেশোয়ারের জেল থেকে ফোন করে হরমিত সিং (Harmeet Singh) ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে দুই খুনি। সরকারি নম্বর থেকে বারবার ফোন করে তাঁদের ভয় দেখানোর কথা প্রশাসনকে জানানো হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে বাধ্য হয়ে পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে পাকিস্তান ছাড়তে চাইছেন সেখানকার প্রথম শিখ অ্যাঙ্কার।
এপ্রসঙ্গে হরমিত সিং বলেন, ‘গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমার ছোট ভাই রবিন্দর ওরফে পরবিন্দার সিংকে প্রকাশ্য রাস্তা নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। পরে এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে রবিন্দরের হবু স্ত্রী প্রেম কুমারি, তার প্রেমিক ইজাজ ও এক সঙ্গী ইব্রাহিমকে জেলা পাঠায় আদালত। বর্তমানে প্রেম কুমারি ও ইজাজ জামিন পেলেও ইব্রাহিম এখনও পেশোয়ার জেলে রয়ে বন্দি। কয়েকদিন আগে সেখান থেকে ফোন করে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয় সে। অন্যথায় আমাকে ও আমার পরিবারকে খুন করার হুমকি দেয়। পুলিশকে এই বিষয়ে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। নিজেদের বাঁচানোর স্বার্থে তাই পাকিস্তান ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। জন্মভূমি ছেড়ে যেতে প্রচণ্ড খারাপ লাগলেও পরিস্থিতির কাছে আমি অসহায়।’