সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরনে বোরখা, হাতে তরোয়াল। কীভাবে শিরশ্ছেদ করতে হয়, সেই প্রশিক্ষণই দেওয়া হচ্ছে ছাত্রীদের। সম্প্রতি পাকিস্তানের কুখ্যাত লাল মসজিদের অন্দরে চলা এহেন কার্যকলাপের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো চঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জেহাদি কার্যকলাপ ও আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে লাল মসজিদের (Lal Masjid) যোগাযোগ সবার জানা। ২০০৭ সালে রাজধানী ইসলামাবাদের বুকে অবস্থিত ওই মসজিদ সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধের সাক্ষী থাকে। ওই ঘটনা পাকিস্তানের ‘অপারেশন ব্লু স্টার’ বললেও অত্যুক্তি করা হবে না। এহেন লাল মসজিদের অন্দরে চলা এহেন কার্যকলাপের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তরুণীদের তরোয়াল চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের সেখানো হচ্ছে, পয়গম্বরের ‘অসম্মান’ করলেই ‘কাফির’দের শিরশ্ছেদ করতে হবে। বলে রাখা ভাল, এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন’।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানে চিনা যন্ত্রাংশ! নতুন জেট কেনা স্থগিত রাখল পেন্টাগন]
এই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা বিশ্লেষক আমিনা বেগম আনসারি। তাঁর মতে, ইসলামের অবমাননার বিষয়টি সুধীমণ্ডলিতে আলোচনার বিষয়। এক্ষেত্রে কাউকে শারীরিক শাস্তি দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, “আজ আমরা দেখতে পাই কীভাবে ইসলামের অবমাননা হলে শারীরিক শাস্তি দিতে হবে সেই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। ভারত এবং ভারতীয় মুসলমানদের জন্য এই শিক্ষা ভয়ঙ্কর।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, ‘Alt News’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেইর-এর মতো লোকজন এর জন্য দায়ী। তাঁরাই ধর্ম অবমাননার এই জিগির তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৩ জুলাই লাল মসজিদে জঙ্গি দমন অভিযান চালায় প্রায় ৬,০০০ পাকিস্তানি সেনা, কমান্ডো ও রেঞ্জাররা। ন’দিন ধরে চলা ভয়াবহ লড়াইয়ের পর ১১ জুলাই মসজিদের দখল নেয় সেনা। ওই অভিযানে অন্তত ৯১ জন জঙ্গি নিহত হয়। প্রাণ হারান ১১ জন পাকিস্তানি সেনা। যদিও আসল সংখ্যা অনেক বেশি বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ছাড়াও অন্য বিদেশি জঙ্গি ছিল। এদের মধ্যে ১২ জন ছিল উইঘুর। গ্রেপ্তার জঙ্গিদের মধ্যে ছিল তাজিক, উজবেক ও চেচেন জেহাদিরা। এহেন লাল মসজিদে ফের জেহাদি কার্যকলাপে পাকিস্তান সরকারের চাপ যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।