সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনায় শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করলেন পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ। পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশকে সংকট থেকে মুক্ত করার স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আব্বাসির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
[ফের পাকিস্তানে নৈরাজ্য, অবরোধ তুলতে গিয়ে নিহত পুলিশ]
আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদের পদত্যাগের দাবিতে ইসলামবাদ-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনে নেমেছে চরমপন্থীরা। শনিবার রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করা কেন্দ্র করে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। অবরোধ তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পুলিশকর্মীর। পুলিশের পালটা মারে জখম হন শতাধিক। অগ্গিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে রবার বুলেট ও কাঁদানে শেল ফাটানো হয়। ইসলামাবাদের রাস্তায় নামে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সাড়ে আট হাজার জওয়ান। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নির্দেশে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে এই সংক্রান্ত খবরাখবরের সম্প্রচারও।
[তাড়া করে বেড়াচ্ছে ধর্ষণের আতঙ্ক, রোহিঙ্গাদের জন্য এবার ‘রেপ অ্যালার্ম’]
কিন্তু, কেন আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন চরমপন্থীরা? সম্প্রতি পাকিস্তান খতম-ই-নাবুঅত নামে একটি আইন লাগু হয়েছে। এর প্রতিবাদেই আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদের পদত্যাগের দাবিতে পাকিস্তানে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ‘তেহরিক-ই-বালাইক-ইয়া রাসুল আল্লাহ পাকিস্তান’ নামে ইসলামপন্থী একটি সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, এই আইন লাগু করে মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন আইনমন্ত্রী। এই আন্দোলনে জেরে গত কয়েকদিন পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। আহত শতাধিক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পাকিস্তান সরকার। বৈঠকে উভয়পক্ষের একটি চুক্তি হয়। সূত্রের খবর, সেই চুক্তির শর্ত মেনেই পদত্যাগ করলেন পাক-আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ। পাকিস্তানের পরিষদীয় বিষয়ক মন্ত্রীও ছিলেন তিনি।
[ভেড়ার মাংস খাচ্ছে গণেশ! বিতর্কের পর বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ]