সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের বহু দেশের মতোই করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানেও (Pakistan)। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) করোনা আক্রান্ত অবস্থাতেই ব্যক্তিগত স্তরে বৈঠকে বসলেন! বৈঠকের ছবি প্রকাশ্যে আসার পরে তীব্র সমালোচনার শিকার তিনি। বিরোধীরা তো বটেই, সেই সঙ্গে সেদেশের সাধারণ নাগরিকরাও কাঠগড়ায় তুলেছেন ইমরানকে।
দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সকলকে করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। অথচ সেই তিনিই কী করে এমন ‘কাণ্ড’ করলেন সেই প্রশ্ন তুলছেন সকলে। প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। চিনের টিকা নেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই সংক্রমিত হয়েছিলেন তিনি। একই দিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিও।
[আরও পড়ুন : দক্ষিণ চিনেই জন্ম করোনার, বেজিংয়ের মিথ্যাচার প্রকাশ্যে আনলেন WHO বিশেষজ্ঞ]
জানা যাচ্ছে, কোভিড (COVID-19) পজিটিভ অবস্থাতেই গতকাল, বৃহস্পতিবার তাঁর ছ’জন সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন তাঁরই তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী শিবলি ফরাজ ও আরও এক সাংসদ ফয়জল আহমেদ। সেই ছবি ঘিরেই ঘনিয়ে ওঠে বিতর্ক। পাকিস্তানের ‘ডন’ সংবাদপত্রের এক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠক ইমরান খানের বানিগালার বাড়িতেই হয়েছিল।
এমনিতেই বিরোধীদের চাপে কোণঠাসা ইমরান। এই পরিস্থিতিতে এমন বিতর্কের সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয় তারা। তাদের দাবি, ওই বৈঠকে যে ক’জন উপস্থিত ছিলেন সকলের বিরুদ্ধেই অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করতে হবে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় তাণ্ডব চালাল একের পর এক বিধ্বংসী টর্নেডো, অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু]
যদিও বৈঠকে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা বিষয়টিকে নিয়ে শুরু হওয়া সমালোচনাকে পাত্তা দিতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, তাঁরা কেউই ইমরান খানের কাছাকাছি যাননি। বরং সকলে সকলের থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে বসেছিলেন। কেউ কোনও রকম খাবার বা পানীয় গ্রহণ করেননি। তাই ৪৫ মিনিটের ওই বৈঠক থেকে তাঁদের সংক্রমিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।