সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৌলবাদীদের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে ইসলামাবাদে প্রথম হিন্দু মন্দির তৈরির অনুমতি দিল পাকিস্তান সরকারের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ইসলামিক আদর্শ বিষয়ক কাউন্সিল। সরকারকে ধর্মীয় বিষয়ে পরামর্শদানকারী এই সংস্থার অনুমোদন মেলায় এবার মন্দির তৈরিতে কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইসলামিক আদর্শ বিষয়ক কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় হিন্দু নেতা ও সাংসদ লাল মালহি-ও। যদিও মৌলবাদীদের একাংশ এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামাবাদে (Islamabad) হিন্দু মন্দির তৈরি করতে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়ে বুধবার পাকিস্তানের ইসলামিক আদর্শ বিষয়ক কাউন্সিল (Council of Islamic Ideology) -এর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দুদের জন্য প্রার্থনার স্থান তৈরির করার অনুমতি দিয়েছে ইসলাম। পাশাপাশি পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মৃত্যুর পর শেষকৃত্য করার অধিকার রয়েছে। আর সেই অধিকার ভিত্তিতেই ইসলামাবাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের শেষকৃত্য করার জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা তৈরির অনুমতি দেওয়া উচিত। এমনকী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা বিবাহ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টারও তৈরি করতে পারে। পাকিস্তানের সংবিধানে তাঁদের সেই অধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি অর্থ সরাসরি ব্যক্তিগত ধর্মাচরণের জায়গা তৈরিতে খরচ না করাই বাঞ্ছনীয়।
[আরও পড়ুন: ‘ঘরে ঢুকে ভারতকে মেরেছি’, পুলওয়ামা হামলা নিয়ে মন্তব্য পাকিস্তানের মন্ত্রীর]
২০১৭ সালে ক্যাপিট্যাল ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষ ইসলামাবাদের ওই এলাকায় ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি মন্দির নির্মাণের জন্য দিয়েছিলেন। তিন বছর ধরে সেখানে মন্দির তৈরির জন্য একটি ইটও গাঁথতে দেওয়া হয়নি। সব বাধা কাটিয়ে অবশেষে গত পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় সম্পাদক লালচাঁদ মাহি মন্দির প্রতিষ্ঠার কাজের সূচনা করেছিলেন। পাকিস্তান সরকার এবার মন্দির নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকা অনুদানেরও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপর গত কয়েকমাস আগে মৌলবাদীদের চাপে ওই মন্দির তৈরির কাজ বন্ধ করে দেয় ইমরান খানের প্রশাসন।