মণিশংকর চৌধুরী: ভাঙড়ে পুলিশের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু! ভোটগণনার রাতে গুলিবিদ্ধ হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে অশান্তি বাঁধে ভাঙড়ের ভোগালির কাঁঠালিয়া এলাকায়। পড়তে থাকে মুহুর্মুহু বোমা। দাবি, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই মৃ্ত্যু হয়েছে তিন জনের! যাঁরা প্রত্যেকেই আইএসএফ সমর্থক বলেই জানা গিয়েছে। যদিও ওই একই ঘটনায় আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং তাঁর দেহরক্ষীও। তবে ওই পুলিশ আধিকারিকের গুলি লেগেছে কি না, তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে প্রশ্ন করা হলেও নিরুত্তর ছিলেন তিনি।
এরপর পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস এবং রবার বুলেট। অভিযোগ, রাত বাড়তেই অশান্তি আরও বাড়ে। উন্মত্ত জনতাকে লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই তিনজনের মৃত্যু হয় বলে দাবি। জানা গিয়েছে মৃতদের পরিচয়ও। হাসান আলি মোল্লা, রাজু মোল্লা এবং রেজাউল করিম নামে তিন আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে জেলা পরিষদের একটি আসনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল শুরু হয় ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাঠালিয়া স্কুলের গণনাকেন্দ্রে। অভিযোগ, জেলাপরিষদের একটি আসনের আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা বিবি এগিয়ে থাকার পরেও ওই একই আসনের তৃণমূল প্রার্থী খাদিজা বিবি জিতে গিয়েছেন বলে দাবি করেন আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল!
[আরও পড়ুন: গণনার পরও অনিশ্চিত পঞ্চায়েতের ফল! প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে হাই কোর্ট]
দাবি, তৃণমূল নেতাদের দাবিকে মান্যতা দেন বিডিও নিজেও। এরপরেই শুরু হয় বাদানুবাদ। অশান্তি চরমে উঠলে শুরু হয় বোমাবাজি। রাত বাড়তেই মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে শুরু করে ভাঙড়ের ওই এলাকায়। শাসকদলের অভিযোগ, আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে কয়েকশো আইএসএফ (ISF) কর্মী। সেই সময় গণনাকেন্দ্রে আরাবুল ইসলাম ও তার ছেলে হাকিমুল আটকে ছিলেন বলেও খবর। যদিও স্থানীয় এক যুবক আশিকুল দাবি, ভাঙড় জুড়ে ক্রমাগত সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল! শাসকের ভয়ে কাঁঠালিয়ার কয়েকশো মানুষ ঘরছাড়া বলেও দাবি স্থানীয়দের একাংশের।