গোবিন্দ রায়: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেও পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) লড়তে হবে বিজেপি প্রার্থীকে। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েও লাভ হল না বিশেষ। রিটার্নিং অফিসারের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহা রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। খারিজ বিজেপি প্রার্থীর আবেদন। তবে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল কমিশনকে।
মিনাখাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী সরজু আরি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন বলে দাবি। যদিও সেই তথ্য সঠিক ছিল না বলে জানান রিটার্নিং অফিসার। মামলাকারীর বক্তব্য, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরজু জিতেছিলেন সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনের পোর্টালে উল্লেখ ছিল। যদিও ১৭ জুন বিডিও নোটিস দিয়ে জানান, আরও দু’জন ওই আসনে লড়ছেন। তাঁদের নাম ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মণ্ডল।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে লড়তে পারবেন ভাঙড়ের ৮২ ISF প্রার্থী? বড় নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]
এ প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বক্তব্য,”মনোনয়নের সময় কেউ ছিল না। তাহলে পরে কীভাবে ভোটের লড়াইয়ে দুজনের নাম এল। কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।” সংশ্লিষ্ট বিডিওর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, এই বিডিও সৌদি আরবের কাউকে প্রার্থী করেছিলেন। অন্য দুই প্রার্থীর মনোনয়নে ভুল রয়েছে বলে দাবি করেছেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাঁর প্রশ্ন, “সন্ধ্যারানি মণ্ডল সাধারণ শ্রেণিতে পড়েন। কীভাবে তিনি তফসিলি জাতির হয়ে লড়ছেন?”
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, কীভাবে একজন সাধারণ শ্রেণির প্রার্থী তফসিলিতে লড়তে পারেন? সব ভুল তথ্য একসঙ্গে দেওয়া হল? পালটা আদালতে রাজ্য জানায়, “ডেটা অপারেটর ভুল করেছেন। সন্ধ্যা তফসিলিতে পড়ছেন। এটা ডেটা অপারেটরের ভুল।” দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি রিটার্নিং অফিসারের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পরও ভোটে লড়তে হবে বিজেপি প্রার্থীকে।