সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙড়ের (Bhangar) অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “ভাঙড়ে গন্ডগোল ছড়াল কীভাবে? ওখানে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কীভাবে গুলিবিদ্ধ হল?” পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন পর্ব থেকেই দফায়-দফায় অশান্তি হয়েছে ভাঙড়ে। সবমিলিয়ে প্রাণ গিয়েছে ৬ জনের। সেই অশান্তি নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে ভাঙড়ের অশান্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, গণনায় তৃণমূল প্রার্থী জিতে গিয়েছিল। কিন্তু বিডিওকে দিয়ে অন্যের জয় লিখিয়ে নেওয়া হয়। স্কুলের বাইরে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিল। দুষ্কৃতীদের জড়ো করেছিল। তারা গুলি-বোমা ছুঁড়েছে। পুলিশও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল সেখানে। তারপরেও কেন অশান্তি ছড়াল প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, “ভাঙড়ে তো আমরা জিতিনি। ওখানে মহাঘোট হয়েছিল। আরাবুল জেতেনি। ওঁরটা হার ছিল না। তবু তো কিছু বলিনি। একটা-দু’টো আসনে আমার কিছু আসে যায় না।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা কণিষ্ক পণ্ডাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ]
ভাঙড় আজ থেকে নয়, দীর্ঘদিন ধরেই অশান্ত বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, “বিদ্যুৎ গ্রিড বসানোর সময় থেকেই অশান্ত। কে বা কারা সেখানে দিয়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে, সবাই জানে।” তবে দোষীদের বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশন’-এর আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, যারাই খুন করে থাকুক তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে।
ভাঙড়ে পুলিশের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু! ভোটগণনার রাতে গুলিবিদ্ধ হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে অশান্তি বাঁধে ভাঙড়ের ভোগালির কাঁঠালিয়া এলাকায়। পড়তে থাকে মুহুর্মুহু বোমা। দাবি, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই মৃ্ত্যু হয়েছে তিন জনের! যাঁরা প্রত্যেকেই আইএসএফ সমর্থক বলেই জানা গিয়েছে। যদিও ওই একই ঘটনায় আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং তাঁর দেহরক্ষীও।