সুদীপ রায়চৌধুরী: অবশেষে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ধাঁধার সমাধান হওয়ার ইঙ্গিত! বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নয়া প্রস্তাব পাঠালেন বিএসএফের আইজি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। আইজি বিএসএফের (BSF) প্রস্তাব, কোনও বুথে হাফ সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। সেক্ষেত্রে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ বিএসএফ আইজির ফর্মুলা অনুযায়ী সব বুথে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত বাহিনী হাতে নেই। মূলত স্পর্শকাতর বুথেই জোর দেওয়া হবে।
হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) এবং রাজ্য পুলিশ ব্যবহার করতে হবে সমান সমান। অর্থাৎ একটি বুথে একজন রাজ্য পুলিশের কর্মী থাকলে, একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করতেই হবে। পুরো বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিএসএফের আইজিকে। তিনিই কমিশনকে নতুন প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু তাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না। বাহিনী মূলত স্পর্শকাতর ও উত্তেজনাপ্রবণ বুথে থাকবে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের সফরের আগেই বোমা বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদে, আঙুল উড়ল কংগ্রেস প্রার্থীর ভাই-সহ ২ জনের]
বিএসএফ আইজির (BSF IG) নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি এবং দু’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে হাফ সেকশন বাহিনী থাকতে হবে (৪-৫ জন)। তিনটি এবং চারটি বুথ থাকলে কমপক্ষে এক সেকশন বাহিনী (১০-১২ জন)। পাঁচ এবং ছ’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে দেড় সেকশন বাহিনী (১৫-১৭ জন) এবং সাতটি বা তার থেকে বেশি বুথ থাকলে কমপক্ষে দু’সেকশন (২০-২২ জন) বাহিনী মোতায়েন করা হবে। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায় এক কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে সব বুথে পর্যাপ্ত পরিমাণ রাজ্য পুলিশও মোতায়েন করতে হবে।
[আরও পড়ুন: Panchayat Election: পঞ্চায়েত ভোটে ফের ঝরল রক্ত, দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ অন্তত ৩]
কিন্তু বিএসএফের আইজির প্রস্তাবে হাই কোর্টের রায় মানা হচ্ছে কিনা, তাতে সংশয় থাকছে। কারণ এই নয়া ফর্মুলায় সব বুথে রাজ্য পুলিশ থাকলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান সব বুথে থাকছে না। বহু বুথেই ভোট করাতে হবে শুধু রাজ্য পুলিশের ভরসায়।