বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরোনোর সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ দিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। যেহেতু জেলা পরিষদের প্রায় সব আসনে বিরোধী প্রার্থী রয়েছে তাই পঞ্চায়েতের এই স্তরকেই মাপকাটি করতে হবে। এবং লোকসভা ভিত্তিক হিসেব বের করার নির্দেশও দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
আসলে কোন লোকসভায় দল কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে তা দেখে নিতেই এই নির্দেশ বলে জানান বঙ্গের গেরুয়া শিবিরের এক শীর্ষনেতা। বুধবার দুপুরে নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন বাংলার দুই শীর্ষনেতা। তাঁদের কাছ থেকে পঞ্চায়েত ভোটের খবরাখবর নেন। তাঁদের ভোটগ্রহণ ও গণনার দিন মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নির্দেশও দেন বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েতের রিপোর্ট আসার পরই বাংলার নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: কলকাতা লিগের শুরুতেই জয়, প্রথম ম্যাচেই পাঠচক্রকে হারাল মোহনবাগান]
বাংলায় এখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জনপ্রিয়তা অটুট। বিশেষ করে মহিলা ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে। অন্যদিকে, বিধানসভা ভোটের পর থেকে জনসমর্থন কমেছে গেরুয়া শিবিরের। আবার বাম ও কংগ্রেসের জনসমর্থন উর্ধমূখী। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে লোকসভার নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করার পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির। রিপোর্ট তৈরির সময় গত লোকসভায় এগিয়ে থাকা ১৮টি আসনে দলের ফলাফল কেমন তার ওপর যেমন জোর দিতে বলা হয়েছে, তেমন পিছিয়ে থাকা আসনে জনসমর্থন কমেছে নাকি বৃদ্ধি পেয়েছে তার স্পষ্ট হিসেব চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস নওশাদের! থানায় তরুণী]
সেইসঙ্গে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বাম ও কংগ্রেসের (Congress) ফলাফল কেমন তাও রিপোর্টে উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের ব্যাখ্যা, যেহেতু বাংলায় বেশ কয়েকটি লোকসভা আসন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত তাই সেই আসনগুলিতে তৃণমূলের (TMC) ভোটব্যাংক অটুট রয়েছে নাকি ভাঁটা পড়েছে তা দেখে নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে আসন ধরে ধরে রিপোর্ট চাওয়ার আদৌ রাজ্য নেতৃত্বের উপর ভরসা করা যাবে কিনা তাও দেখে নিতে চাইছেন অমিত শাহ (Amit Shah), নাড্ডা ও বিএল সন্তোষরা। সেইমতো বাংলার সংগঠনে রদবদল করা হবে বলে জানান এক শীর্ষনেতা। তবে রাজ্যের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা কয়েকজনের কাজকর্মে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অসন্তুষ্ট। তাঁদের ওপর খাঁড়া নেবে আসা কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলে নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের সদর দপ্তর সূত্রে খবর।