স্টাফ রিপোর্টার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করা জনমুখী প্রকল্পগুলিকে হাতিয়ার করেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) প্রচার বামেদের। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার ইস্তাহার প্রকাশ করল বামফ্রন্ট।
সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে বলা হয়েছে, আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য চালু জনকল্যাণমুখী প্রকল্প অব্যাহত থাকবে। এবং সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প হবে প্রয়োজনভিত্তিক এবং রূপায়ণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। অর্থাৎ স্পষ্ট, আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য রাজ্যজুড়ে মমতার চালু করা যে সমস্ত জনকল্যাণমুখী প্রকল্প সাড়া ফেলেছে গোটা দেশে, সেরার পুরস্কারও ছিনিয়ে আনছে, সেই বিষয়গুলি অস্বীকার করতে পারেনি বামেরা। তাই ইস্তাহারে তারা বলতে বাধ্য হয়েছে, জনকল্যাণমুখী প্রকল্প অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, রূপশ্রী থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প হাতিয়ার বামেদেরও।
[আরও পড়ুন:মনোনয়নপত্রের নথি ‘বিকৃতি’, উলুবেড়িয়ার পর রানিগঞ্জেও কাঠগড়ায় BDO]
ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো জনপ্রিয় প্রকল্পগুলি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সিপিএম কর্মীদের প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। প্রচারে সিপিএম বলছে, তারা জিতলেও এসব প্রকল্প বন্ধ হবে না। বামফ্রন্টের ইস্তাহারে দাবি করা হয়েছে, কন্যাশ্রী বা ২ টাকা কেজি চাল বামফ্রন্টের সময়ের প্রকল্প। আবার তৃণমূল সরকারের আমলে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প যখন কেন্দ্রের পুরস্কার পেয়েছে, সেই ১০০ দিনের কাজ বামপন্থীদের লড়াইয়ের ফসল বলে ইস্তাহারে দাবি করেছে বামেরা। যা নিয়ে অবশ্য তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসকদল। তৃণমূলের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রকল্পের সাফল্যকে নিজেদের আমলে করা বলে ক্রেডিট নিতে চাইছে সিপিএম। কেন্দ্র বাংলার জন্য বহু প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ আটকে দিয়েছে। তবু বাংলার গরিব মানুষের স্বার্থে রাজ্য সেই প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, বুধবার সিপিএম রাজ্য দফতরে বামফ্রন্টের ইস্তাহার প্রকাশ করেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন চট্টোপাধ্যায়, তপন হোড় প্রমুখ বাম নেতৃত্ব। বামেদের ইস্তাহারে বামফ্রন্ট পরিচালিত পঞ্চায়েতে বিকল্প কর্মসূচিও রাখা হয়েছে।
এদিন জোটের বিষয়টি নিচুতলার উপর রয়েছে বলেই মন্তব্য করেন বিমান বসু। বিমানবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল—বিজেপিকে পরাজিত করতে বাম ও সহযোগী দলগুলি একজোট হয়েছে। যেখানে কংগ্রেস—আইএসএফের প্রার্থী আছে সেখানে বামফ্রন্টের প্রার্থী নেই।’’ সূত্রের খবর, সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য স্বীকার করতে না চাইলেও নিচুতলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে কিছু এলাকায় অলিখিত সমঝোতা হয়েছে বামেদেরও।