দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পঞ্চায়েত ভোটের (WB Panchayat Vote 2023) মনোনয়ন পর্ব থেকেই উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। রক্তপাত, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের সাক্ষী গোটা এলাকা। প্রাণহানি হয়েছে আইএসএফ-সহ দুই তৃণমূল কর্মীর। রবিবার নিহত তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। স্বজনহারা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। ২ নম্বর ব্লকে বোমাবাজি হয়। একের পর এক দোকান, বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিডিও’র কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তাতেই প্রাণ হারান তৃণমূল কর্মী রাজু নস্কর ও রশিদ মোল্লা। রবিবার সকালে ভাঙড়ে নিহত দুই কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ও ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ও ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লা।
[আরও পড়ুন: পারিবারিক বিবাদ রাজনীতির ময়দানেও! প্রার্থী হতে না পেরে ক্ষুব্ধ বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রর জামাই]
পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর দাবি, দুই তৃণমূল কর্মী খুনের নেপথ্যে রয়েছে বিরোধীরা। তারাই চক্রান্ত করে দু’জনকে খুন করেছে। একই দাবি যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের। পঞ্চায়েত ভোটের শান্তিরক্ষার আরজি জানান তিনি। এদিকে, ভাঙড়ে লাগাতার অশান্তির জেরে শওকত মোল্লার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তাঁকে জেড (Z) ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ও ভাঙড়ের পর্যবেক্ষকের নিরাপত্তা বাড়ানোকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর তরজা।