অর্ক দে, বর্ধমান: সভায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে (Minakshi Mukherjee) প্রশ্ন করার জের! প্রশ্নকর্তাকে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠল সিপিএম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল বা বিজেপির হয়ে ওই ব্যক্তি সভায় এসেছিলেন। সভায় সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছিল। সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের দাবি, মারতে এলে পালটা মার খাবে। যদিও প্রহৃত ব্যক্তির দাবি, তিনি অরাজনৈতিক কর্মী। জোট নিয়ে তিনি স্রেফ সিপিএমের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন। ওই আম পাবলিককে তখন ঘিরে ধরেছে লাল বাহিনী। যদিও পুলিশ দ্রুত সাধারণ মানুষটি সেখান সরিয়ে দেওয়ায় আরও খারাপ কিছু ঘটেনি। শনিবার দুপুরে ‘লাল সন্ত্রাস’-এর সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমানের গাংপুরের স্বস্তিপল্লি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আগে শনিবার বর্ধমানের ১ নম্বর ব্লকের স্বস্তিপল্লিতে সভা ছিল সিপিএমের সভা ছিল। সেখানেই হাজির ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সভা চলাকালীন তাঁর মঞ্চের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন চন্দন রায় নাম এক ব্য়ক্তি। সিপিএম কর্মীদের অভিযোগ,মীনাক্ষীর বক্তব্য়ের মাঝেই বারবার বিরক্ত করছিলেন চন্দন। তাঁর প্রশ্ন আছে বলে দাবি করছিলেন। মীনাক্ষীর বক্তব্য় শেষের পর চন্দন রায় জানতে চান, রাজ্য়ে কোনও দলের সঙ্গে সিপিএমের জোট ছে কি না। জবাব বামনেত্রী জানান, না রাজ্যে কারওর সঙ্গে জোট নেই। এরপর জাতীয়স্তরে জোট রয়েছে কি না তাও জানতে চান ওই ব্যক্তি। উত্তরে মীনাক্ষী বলেন, “জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটে রয়েছে বাম।” সেই জোটে তৃণমূলও রয়েছে। বামেদের এমন দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চন্দনবাবু। তাঁকে মীনাক্ষী জানান, “বামেদের মূল লক্ষ্য জাতীয়স্তরে বিজেপি ও রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানো।”