সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: যারা দুর্নীতিপরায়ণ তারাই বিজেপিতে। দুর্নীতিগ্রস্তদেরকেই বিজেপি নিচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘গ্যারান্টার’ প্রধানমন্ত্রীকে পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে ফের এভাবেই কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
সোমবার পুরুলিয়া দিয়ে জঙ্গলমহলে পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু করেন তিনি। এদিন বাঘমুন্ডির কালিমাটি ভবানীবালা আদিবাসী বিদ্যাপিঠ গ্রাউন্ডে ভিড়ে ঠাসা জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইয়ের মামলা চলছে তাদেরকে এনডিএতে নিয়ে মহারাষ্ট্রে আবার সরকার গঠন করছে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত তোলাবাজগুলোকে নিয়ে!”
[আরও পড়ুন: শোভনের নামেই সিঁদুর পরেন, কিন্তু বিয়েটা কবে? ফাঁস করলেন বৈশাখী]
বিরোধী দলনেতাকে খোঁচা দিয়ে অভিষেকের দাবি, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘গ্যারান্টার’ প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি নেতাদেরকে আপনারা টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখেছেন কিনা ? কাগজ মুড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হয়নি। কিন্তু গতকাল অজিত পাওয়ার এনসিপি থেকে এনডিএতে গিয়েছেন । তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। ইডিও মামলা করেছে। সিবিআইও মামলা করেছে। তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” এনসিপিকে নিশানা করে তাঁর আরও দাবি, “প্রফুল্ল প্যাটেল। এনসিপির রাজ্য সভার সাংসদ। ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট। দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এনসিপি এমন একটা দল যাদের বিরুদ্ধে ৭৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘোটালা রয়েছে। আর সেই এনসিপির ৪০ জন এমএলকে গতকাল বিজেপিতে ঢুকিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেছে।”
“এরকম ‘গ্যারান্টার’ কে কি আপনারা চান? যারা কথা দিয়ে কথা রাখেন না। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে যারা দুর্নীতিগ্রস্তদেরকে বিজেপিতে ঢোকাচ্ছেন সেই ‘গ্যারান্টার’-কে কি আপনারা বিশ্বাস করেন?” জনসভার মঞ্চ থেকে একের পর এক প্রশ্ন তুলে সভায় থাকা জনতার কাছে জানতে চান অভিষেক। উপচে পড়া জনসভা থেকে উত্তর আসে ‘না।’ অন্যদিকে আরেক গ্যারান্টারের কথা তুলে ধরেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তুলে বলেন, “উনি বলেছিলেন আমি যদি ক্ষমতায় তৃতীয়বার আসি আমি সবাইকে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেব। আপনারা পেয়েছেন তো?” এবার উত্তর আসে হ্যাঁ। এদিন অভিষেক ফের অভিযোগ করেন, “ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূলকে আটকাতে চাইছে। সিবিআই-ইডি দিয়ে তদন্ত করানোয় উদ্দেশ্য। যারা বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করছেন না তারা জেলে। আর যারা বিজেপিতে যাচ্ছেন তারা ধোওয়া তুলসিপাতা।”