স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালট বাক্সে কারচুপি রুখতে ‘কিউআর কোড’ থাকছে প্রতিটি বাক্সের গায়ে। সঙ্গে থাকছে নির্দিষ্ট নম্বরও। পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিবার যে ব্যালট বাক্স বদলের অভিযোগ ওঠে, সেই আশঙ্কা রুখতেই নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।
বৃহস্পতিবার কমিশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী এবার মোট বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬ হলেও ১ হাজার ৪৩টি বুথে বিভিন্ন কারণে ভোট হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে ৬০ হাজার ৫৯৩টি বুথে। গত পঞ্চায়েত ভোটে (West Bengal Panchayat Election 2023) একাধিক গণনাকেন্দ্রে বাক্স বদলের অভিযোগ উঠেছিল।
বাম আমলেও বিরোধীরা এই অভিযোগ বার বার তুলে এসেছে। এবার সেই অভিযোগে যাতে ফের বিদ্ধ না হতে হয়, সে জন্য প্রথম থেকেই সচেষ্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এজন্য ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ব্যালট বাক্স চিহ্নিতকরণের নম্বর ও ‘কিউআর কোড’ বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছিল। কমিশন সূত্রে খবর, প্রতিটি ব্যালট বাক্সের নম্বর পোর্টালে নথিবদ্ধ করতে জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে ভোটের সময় কোন বুথে কোন ব্যালট বাক্স পাঠানো হচ্ছে, তা সহজেই জানা যায়। কমিশনের দাবি, ব্যালট বাক্সের নম্বর জানা থাকলে গণনার আগে বা পরে বাক্স বদলের অভিযোগ উঠবে না। পাশাপাশি ‘কিউআর কোড’ ‘স্ক্যান’ করলে ব্যালট বাক্সের যাবতীয় তথ্য বেরিয়ে আসায় পুরো প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনা যাবে।
[আরও পড়ুন: ভোটপ্রচারে শেষ মুহূর্তে চমক শাসকদলের, নন্দীগ্রামে পথসভা পর্দার মমতার]
প্রতিবারের মতো এবারও প্রতিটি বুথে চারটি করে ব্যালট বাক্স পাাঠানো হচ্ছে। প্রতিটির গায়ে ‘কিউআর কোড’ ও নির্দিষ্ট নম্বর থাকছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে পুরনো ব্যালট বাক্সে চিহ্নিতকরণের নম্বর এবং ‘কিউআর কোড’ বসিয়ে সেই বাক্সই পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। কমিশন সূত্রে খবর, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নতুন ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হচ্ছে। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের হাতে খাকা পুরনো ব্যালট বাক্সকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সেগুলির গায়েও ‘কিউআর কোড’ ও নম্বর বসানো হয়েছে।