সুমিত বিশ্বাস, আদ্রা: প্রতিবাদী, ডাকাবুকো রাজনীতিক হলেই কি গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যেতে হবে আদ্রায়? আর এমন ঘটনা ঘটে হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election), নইলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বোর্ড গঠনের সময়। পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুর ব্লক যুব তৃণমূল (TMC) সভাপতি হামিদ আনসারি থেকে আদ্রা শহর তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবের ঘটনায় রেল শহরে একথাই ঘুরপাক খাচ্ছে।
২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর। পুরুলিয়ার আদ্রা থানা এলাকার মিশরডি রেলগেটের কাছে আততায়ীরা মোটরবাইকে এসে কাশীপুরের যুব তৃণমূলের সভাপতি হামিদ আনসারিকে খুব কাছ থেকে পরপর গুলি (Shooutout) করে চলে যায়। মোটরবাইকে থাকা চারজন আততায়ী ৬-৭ রাউন্ড গুলি করে নিমেষে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত হয়ে মুখ উপুড় করে রেলগেটের পাশে পড়ে থাকেন ওই তৃণমূল নেতা। ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই সুপারি কিলার গ্রেপ্তার হয়।
ঠিক পাঁচ বছর পর সেই একই ছবির পুনরাবৃত্তি রেলশহর আদ্রায় (Adra)। প্রতিবাদী হামিদ আনসারির মতোই আরেক ডাকাবুকো নেতা ধনঞ্জয় চৌবেকে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যেতে হল। সেই একই কায়দায়। ভাড়াটে খুনির পরপর গুলিতে প্রাণ শেষ। ২০২৩ সালের ২২ জুনের সঙ্গে আগের পাঁচ বছরের ২০১৮ সালের ১৪ই ডিসেম্বরের মিল অনেকটাই। এবারও আততায়ীরা এসেছিল সেই মোটরবাইকে। সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) সেই তিন আততায়ী চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। একই কায়দায় কাছ থেকে এলোপাথাড়ি গুলি।
[আরও পড়ুন: কুন্তলের চিঠি মামলা: ‘প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শেষ’, হাই কোর্টে জানাল CBI]
পাঁচ বছর আগে বেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। আর এবার পঞ্চায়েত ভোট। তাই শুক্রবার রেল শহর আদ্রার মানুষজনের মননে-মস্তিষ্কে ঘুরে বেড়ালো হামিদ আনসারির স্মৃতি। হামিদ আনসারির স্মৃতিতে আজ ফুটবল টুর্নামেন্ট হচ্ছে। আগামী দিনে হয়তো ধনঞ্জয় চৌবে মেমোরিয়াল কোনও ট্রফি হবে এই শহরে। কিন্তু এই হত্যালীলা কবে থামবে? সেটাই বড় প্রশ্ন।