সুমন করাতি, হুগলি: ফুরফুরা শরিফে (Furfura Sharif ) নজরকাড়া ফল করল তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৯টি আসনের মধ্যে ২৮টিতেই জিতেছে রাজ্যের শাসকদল। তবে এই ফল সামনে আসতেই আব্বাস ও নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফ-এর কিছু কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ফুরফুরা শরিফকে অপবিত্র করার অভিযোগ উঠল।
এদিন প্রথমে ভোট গণনায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। কিছুক্ষন পরই তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, ‘‘এভাবে ফুরফুরা শরিফের পবিত্র স্থানের সামনে কেউ বোমাবাজি করেনি। দূষিত করা হল ফুরফুরা শরিফকে।’’ তৃণমূলের জয়ের পর এক প্রশ্নে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি আইএসএফ-কে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘‘চোরদের নিয়ে দল চলে না। দল চালাতে গেলে উন্নয়ন করতে হয়। আইএসএফ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদত করে এখানে জিততে পারবে না কোনওদিন।’’
[আরও পড়ুন: শাসকদলের নির্দেশ অমান্য, ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের সমর্থনে নির্দল প্রার্থীদের ফল কেমন?]
জয়ের পর ফুরফুরার মানুষকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। বস্তুত, স্নেহাশিসের জনসংযোগ ও দলীয় সংগঠন, উন্নয়ন এই জয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করেছে। নওশাদরাও এখানে জিততে মরিয়া ছিলেন। তৃণমূলের দাবি, আইএসএফের উসকানি মানুষ নেয়নি। ফুরফুরা শরিফের মানুষের রায় উন্নয়নের পক্ষেই। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফুরফুরা শরিফের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে আলো,হাসপাতাল, জল, সর্বত্র ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছিল ফুরফুরা শরিফের। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি মানুষের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন, উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিতে আর সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দূরে সরিয়ে দিতে। এছাড়া, এই ফল আব্বাস-নওশাদদেরও মোক্ষম বার্তা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।