সংবাদ প্রতিদিন ব্য়ুরো: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) হাইভোল্টেজ কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম নন্দীগ্রাম (Nandigram)। স্বাভাবিকভাবেই সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। মঙ্গলবার সন্ধে অবধি সরকারিভাবে জয়ের খতিয়ান না পাওয়া গেলেও নন্দীগ্রাম-সহ জেলার সার্বিক চিত্রটা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সন্ধে অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লকের মধ্য়ে তৃণমূল বনাম বিজেপির জোর টক্কর চলছে। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিজেপিকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল।
সূত্র মারফত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা মোট ১০টি। এর মধ্যে ৫টি পঞ্চায়েতে জয়ের পথে বিজেপি, বাকি ৫টিতে এগিয়ে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য়ে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি, বাকি দু’টিতে তৃণমূল। ২০১৮ সালে এই আসনগুলিতে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল তৃণমূলের। এবার সেই চিত্রে সামান্য় বদল এসেছে। তবে চূড়ান্ত ছবিটা এখনও সামনে আসতে অনেকটা সময় বাকি।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে রক্তাক্ত শীতলকুচি তৃণমূলের পাশে, পঞ্চায়েতে নিরঙ্কুশ জয় শাসকদলের!]
একুশের বিধানসভার আগে অমিত শাহের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে অবধি তৃণমূলের হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুর দলবদলের পর তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বে বদল আসে। পাশাপাশি জেলায় তৃণমূল বনাম বিজেপি প্রেস্টিজ ফাইট শুরু হয়ে যায়। বিধানসভা ভোটে অবশ্য নিজের কেন্দ্রে বিতর্কিত জয় বাদে বিশেষ কিছু করতে পারেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তাই এবার তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পূর্ব মেদিনীপুরে পদ্মফুল ফোটানো। কিন্তু সেই কাজেও যে তিনি সম্পূর্ণ সফল হলেন, তা অবশ্য বলা যায় না।
ময়নার বাকচা ও গোজিনা গ্রাম পঞ্চায়েত জয়লাভ করেছে বিজেপি। পরমানন্দপুর, ময়না ১, ময়না ২, তিলখোঁজা, শ্রীকন্ঠা, গোকুলনগর, রামচক, নৈছনপুর ১, নৈছনপুর ২ এই ন’টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। অন্যান্য কেন্দ্রে গণনা এখনও চলছে।