রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: নির্বাচনের (Panchayat Poll) কাজে গিয়ে ফের ভোটকর্মীর মৃত্যু। ভোটের আগের রাতেই অসুস্থ হয়েছিলেন নদিয়ার ওই শিক্ষক। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, ভোটের দিন কাজ ও পারিপার্শ্বিক চাপে সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। নির্বাচন কমিশন ঠান্ডা মাথায় তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ পরিবার ও যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের।
মৃত ভোটকর্মীর নাম রেবতীমোহন বিশ্বাস। তিনি হাঁসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠের শিক্ষক। করিমপুর ১ ব্লকের ১৩৪ নম্বর পোলিং স্টেশনে তাঁর ডিউটি পড়েছিল। পোলিং অফিসার অসুস্থ থাকায় তাঁকে ভোটের কাজে যোগ দিতে হয়। নির্বাচনের কাজের চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর।
৮ জুলাই সকালে ভোটের কাজ শুরু হতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জানা যায় তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ রেবতীমোহন বিশ্বাসের মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: খোলা বাজারে বিকোচ্ছেই কচ্ছপ! গাঁটের কড়ি খরচ করে উদ্ধার কলেজ ছাত্রীর]
পরিবারের অভিযোগ, ভোটের কাজ ও নির্বাচনের দিন পারিপার্শ্বিক চাপেই প্রাণ গিয়েছে রেবতীমোহন বিশ্বাসের। নির্বাচন কমিশন ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে তাঁদের প্রিয়জনের। একই অভিযোগ সরকারি কর্মীদের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের। তাঁদের দাবি, এই মৃত্যুর জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তাঁরা।
এদিকে কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে গিয়ে ২০১৮ সালের ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গও টেনে এনেছে রেবতীমোহনের পরিবার। তাঁদের দাবি, “নির্বাচন কমিশন ও কমিশনার আরেকজন রাজকুমার রায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন। পরোক্ষভাবে খুন করলেন ভোটকর্মী রেবতীমোহন বিশ্বাসকে।” প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটে ইটাহার ব্লকের সোনাপুর এফপি স্কুলে প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন রাজকুমার রায় ৷ ভোট চলাকালীন তিনি নিখোঁজ হয়ে যান, পরে রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ ৷ সেই মৃত্যু রহস্যের আজও কিনারা হয়নি ৷ অভিযোগের তির ছিল শাসকদলের দিকে।