সুব্রত বিশ্বাস ও নব্যেন্দু হাজরা: পুজো প্যান্ডেলের ভিড়কে দুয়ো দিল রেলের বুকিং কাউন্টারের ভিড়। শুক্রবার হাওড়া, শিয়ালদহ-সহ শহরতলির স্টেশনগুলোতে অস্বাভাবিক ভিড়ের কারণ, শনিবার পঞ্চায়েতের ভোট। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য শহরে কমছে বাসের সংখ্যাও।
কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় থাকা মানুষজন গ্রামে ফিরছেন ভোট দিতে। আর সেই কারণেই স্টেশনগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। অথচ বুকিং কাউন্টারগুলিতে কর্মী সংখ্যা কম থাকায় সব কাউন্টার খোলা যায়নি। যাত্রীদের অভিযোগ, কোনও জায়গায় কাউন্টার খোলা থাকলেও অদূরে কর্মীরা গল্প করতে ব্যস্ত। হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম এস সিনহা জানিয়েছেন, ভিড় হওয়ার আগাম কোনও খবর ছিল না। পালটা যাত্রীদের দাবি, লাইন এত দীর্ঘ যে, টিকিট হাতে পেতে ঘণ্টা খানেক সময় লেগে যাচ্ছে। শহরতলির স্টেশনগুলোতেও ভিড় ছিল অস্বাভাবিক রকমের। কাউন্টারের সংখ্যা কম খোলা থাকাতেই এই বিপত্তি। এধরনের সমস্যার কারণ, কমার্শিয়াল কর্মীদের নজর রাখেন যাঁরা, সেই সিটিআইদের নজরদারির অভাব রয়েছে বলে জানান কর্মীদের একাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘ডাঙ্কি’র পোস্টার তৈরি করে চমকে দিলেন শাহরুখ অনুরাগী, কী বলছেন নেটিজেনরা?]
বৃহস্পতিবার থেকেই ভোটের (Panchayat Polls 2023) কাজে যেতে শুরু করেছে বেসরকারি বাস-মিনিবাস, স্কুলবাস। ফলে রাস্তা থেকে কমছে গাড়ি। সকালের দিকে গাড়ির সংখ্যা স্বাভাবিক থাকলেও বিকেলের পর থেকেই রাস্তায় বাস পেতে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। কিন্তু শনি ও রবিবার সেই ঝক্কি আরও বাড়বে। পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছে, এবারের ভোটেই প্রথম সরকারি কোনও বাস নেওয়া হল না। একদফাতে ভোট হওয়ার কারণেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত। সরকারি বাসও তুলে নেওয়া হলে রাস্তায় বেড়িয়ে গাড়ির অভাবে যথেষ্টই বেগ পেতে হত যাত্রীদের।
তবে কর্তারা জানাচ্ছেন, চালক ও কন্ডাক্টরদের একটা বড় অংশেরই বাড়ি বিভিন্ন জেলায়। তাঁরা ভোট দিতে সেখানে চলে যাচ্ছেন। ফলে শনি ও রবিবার রাস্তায় বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমবে। বেসরকারি বাসমালিকরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ বাসই ভোটের কাজে তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে অন্য ভোটের সময়ও রাস্তায় যেমন বাস কমে যায়, এবারও তাই হয়েছে। ছোট গাড়ি অটো, টোটোও জেলায় ভোটের কাজে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। যে কারণে রাস্তায় সব ধরনের যানবাহনই কমেছে।