সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আচমকা পঞ্চায়েত অফিস থেকে শোনা গেল উলুধ্বনি, সানাইয়ের সুর। প্রায় হতচকিত হয়ে যান সকলে। কেন বাজছে সানাই? কেনই বা দেওয়া হচ্ছে উলুধ্বনি? সেই প্রশ্ন সকলের মনেই জাগে। কিছুক্ষণের মধ্যে জানা যায় সব কিছু। বিয়ের আর বেশি বাকি নেই। তাই হাজার কাজের ব্যস্ততা সামলে পঞ্চায়েত অফিসেই উপপ্রধানের আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসের আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যার সত্যতা যাচাই করেনি SangbadPratidin.in। তবে এই আইবুড়ো ভাত পালন ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
উপপ্রধান সাহাবুদ্দিন মণ্ডলের সামনেই বিয়ে। আর নতুন জীবনের শুরুর আগে উপপ্রধানের যে আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করা হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু বাড়িতে আয়োজন করে ডেকে উপপ্রধানকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর মতো সময় যে পাওয়াই যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে কাজ সামলে পঞ্চায়েত অফিসেই আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করা হয়।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে গ্রেপ্তার করা হোক, সুদীপ্ত সেনকে ‘ব্ল্যাকমেলে’র অভিযোগে সরব তৃণমূল]
পঞ্চব্যঞ্জনে থালা সাজান পঞ্চায়েত অফিসের মহিলারা। কাঁসার থালার চারপাশে বাটিতে সাজানো নানা পদ। মাছ, মিষ্টি, দই, পায়েস – কী নেই সেই তালিকায়। স্মার্টফোনেই বাজানো হয় সানাইয়ের সুর, শঙ্খ, উলুধ্বনি। তারপর একে একে সযত্নে তাঁকে খাইয়েও দেন।
পঞ্চায়েত অফিসে উপপ্রধানের আইবুড়ো ভাতের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। অনেকের দাবি, কর্মসংস্কৃতি নষ্ট করে এইভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করা ঠিক নয়। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যর সাফাই, জন্মদিন বা অন্যান্য কোনও বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা জানাতে সব অফিসেই অনুষ্ঠান হয়। কেকও কাটা হয়। তাতে বিতর্কের কিছু নেই। সদস্যরা চাঁদা দিয়ে এই অনুষ্ঠান করেছেন। যদিও পঞ্চায়েতের প্রধান ডলি নন্দী ও উপ প্রধান সাহাবুদ্দিন মণ্ডল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানান, এই বিষয়ে বিষয়ে খোঁজ নেবেন। তবে ঘটনা অনভিপ্রেত।