সুদীপ রায়চৌধুরী: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। তার মধ্যেই বুথে বুথে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। শেষ মুহূর্তে কমিশনের দাবিমতো বাহিনী আনতে তোড়জোড় নোডাল অফিসার তথা বিএসএফের আইজি-র। বাকি বাহিনী পাঠাতে তিনি বৃহস্পতিবার রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে খবর। সূত্রের খবর, সেই চিঠির দাবি মেনে লেহ্ (Leh)-লাদাখ ও অন্যান্য সীমান্ত এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এল বাংলায়। শুক্রবার সন্ধের মধ্যেই যাতে তাঁরা বুথে পৌঁছে যান, তার জন্য লে থেকে আকাশপথে সরাসরি বাহিনী নামল পানাগড়ের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। লে থেকে ৫ কোম্পানি, ২ প্ল্যাটুন বাহিনী এসেছে বলে খবর। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বিএসএফ (BSF), আইটিবিপির (ITBP) জওয়ান।
হাই কোর্টের (Calcutta HC) নির্দেশমতো পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে আটশোর বেশি বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে (Ministry of Home Affairs) চিঠি পাঠায়। কেন্দ্র জানায়, নিখরচায় বাহিনী দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আসতে থাকেন। এখনও পর্যন্ত মোট ৩২৭ কোম্পানি বাহিনী এসে পৌঁছেছে। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীকে শেষ মুহূর্তে আনা হচ্ছে। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়ে বাকি বাহিনী দেওয়ার আবেদন জানান বিএসএফের আইজি (IG, BSF)। তিনিই বাহিনী মোতায়েনের মূল দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর আবেদন মেনে শুক্রবার তড়িঘড়ি বাকি বাহিনী আনা হল বিমানে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ! মুর্শিদাবাদে মৃত আরও ২]
সূত্রের খবর, শুধু লে বা লাদাখ নয়, পাঞ্জাব এবং অরুণাচল সীমান্ত থেকে গ্রামবাংলার বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসেছেন। অন্তত ৮০ শতাংশ বাহিনী বুথে বুথে মোতায়েন করা হবে শুক্রবারের মধ্যেই। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠছে, লে বা অরুণাচল থেকে যে জওয়ানদের আনা হল, তাঁরা রাতারাতি কীভাবে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন? এ বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, তাঁরা আদালতের নির্দেশ মেনেই পর্যাপ্ত বাহিনী চেয়েছে। সেক্ষেত্রে সমন্বয়কারী অফিসার কীভাবে তা মোতায়েনের ব্যবস্থা করবেন, তা তাঁর আর কেন্দ্রের বোঝাপড়া।