বিক্রম রায় ও অরূপ বসাক: ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর এবার কোচবিহারের দিনহাটা (Cooch Behar)। শনিবার অশান্ত এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর এমনই।
এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, শুক্রবার কালিম্পং থেকে সড়কপথে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন সি ভি আনন্দ বোস। মালবাজার (Malbazar) শহরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত সরকারি অতিথি নিবাসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছেন তিনি। মিনিট কুড়ি অতিথি নিবাসে থাকার পর পুনরায় কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন। আচমকা সফরের মাঝে মালবাজার শহরে কিছুটা সময় কাটানোর খবর পাওয়া মাত্র প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা বেড়ে যায়। মালবাজার মহকুমা পুলিশ প্রশাসন এবং মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় সরকারি অতিথি নিবাস কার্যালয় চত্বর। সাময়িক বিরতিতে কফি ও স্ন্যাকস খেয়েছেন তিনি। সরকারি অতিথি নিবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বিয়ের আসরে পেটব্যথা, পরদিনই মা হলেন কনে! লুকিয়ে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার কথা স্বীকার কনেপক্ষের]
কোচবিহার পৌঁছে এদিন সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর শনিবার সকালে তিনি রওনা দেবেন দিনহাটার (Dinhata) উদ্দেশে। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের(Panchayat Vote 2023) আবহে দিনহাটা একাধিকবার রাজনৈতিক অশান্তিতে তপ্ত হয়ে উঠেছে। সেই আবহে এবার দিনহাটা যেতে চান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুধু তাই নয়, এই সফরে তিনি যেতে যেতেই ফোনে অভিযোগ শুনবেন। তার জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছেন বলে খবর।
কখনও মনোনয়ন পর্বে অশান্তি, কখনও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার অভিযোগ, কখনও আবার গুলি, বোমায় প্রাণহানি। সম্প্রতি এই সব ঘটনাতেই বারবার অশান্ত হয়ে উঠেছিল দিনহাটার বিভিন্ন এলাকা। বেশিরভাগ ঘটনাতেই অভিযোগের তির দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে। বারবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে শাসকদল ও বিজেপি। সেসব ঘটনার কথা কানে পৌঁছেছে রাজ্যপালেরও। তাই তিনি নিজেই এবার সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে চান। আর সেই কারণেই শনিবার দিনহাটা যেতে পারেন। কোচবিহার শহর থেকে দিনহাটার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। শনিবার সকাল দিনহাটার উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন।
[আরও পড়ুন: এবার মদ নিয়েই ওঠা যাবে মেট্রোয়! বড় ঘোষণা দিল্লিতে]
এর আগে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়ন পর্বে ভাঙড়ে নজিরবিহীন অশান্তির পর রাজ্যপাল সেখানে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন অশান্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে শান্তির বার্তা দিয়েছেন। তারপরের দিন রাজ্যপাল গিয়েছিলেন ক্যানিংয়ে। এবার তিনি অশান্ত দিনহাটায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চান।