রাজা দাস, বালুরঘাট: দণ্ডি কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) প্রাক্তন মহিলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী আগাম জামিন (Bail) পেলেন। শুক্রবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন বালুরঘাট জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে তা নিয়েই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
মাস দুয়েক আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে তিন আদিবাসী মহিলা দলবদল করেন। বিজেপিতে (BJP) যোগদানের একদিনের মধ্যে তাঁরা ফের ফিরে আসেন তৃণমূলে। শাস্তি হিসেবে তিনজনকে দণ্ডি কাটানো হয়। তার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন জেলা মহিলা তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। সেই ঘটনায় জেলা-সহ রাজ্য জুড়ে বিতর্ক দেখা দেয় রাজনৈতিক মহলে। পুলিশ ৫০৫ ও ৫০৯ ধারা এবং এসসি-এসটি প্রিভেনশন অব অ্যাট্রোসিটি অ্যাক্টে মামলা দায়ের করে। যদিও পুলিশ ঘটনায় আনন্দ রায় ও বিশ্বনাথ দাস নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে বালুরঘাট (Balurghat) আদালতে তোলে। কিন্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয় বিরোধীরা। প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে তৃণমূলের জেলা মহিলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ওয়াগনার বাহিনীর তাড়া খেয়ে দেশ ছেড়ে পালালেন পুতিন? গৃহযুদ্ধের আবহে জল্পনা তুঙ্গে]
পরবর্তীতে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)জেলায় এসে ওই তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের মধ্যে একজন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থীও হয়েছেন। সেদিনের পর অভিষেকের নির্দেশে সেদিনই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও অপসারণ করা হয়। এরপরেই জেলা পুলিশ প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে ওই মামলায় নোটিস পাঠায়। বালুরঘাট আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বালুরঘাট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং সন্ধে নাগাদ ওই মামলায় জামিন পান।
[আরও পড়ুন: রামায়ণে যৌনতার সুড়সুড়ি! ‘আদিপুরুষ’-এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা আইনজীবীর]
বিশেষ সরকারি আইনজীবী উদয় ঘোষ দস্তিদার শনিবার জানান, মামলার অভিযোগকারী এবং দণ্ডি কাণ্ডে নিগৃহীতা তিন আদিবাসী মহিলা আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। নিগৃহীতাদের কোনও আপত্তি না থাকায়, বালুরঘাট জেলা ও দায়রা আদালতের প্রথম কোর্টের বিচারক অলি বিশ্বাস প্রদীপ্তার জামিন মঞ্জুর করেন। মামলাটিতে প্রদীপ্তা-সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে।