শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বাবা চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। মেয়েও আগাগোড়া তৃণমূল ও সক্রিয় রাজনীতিতে। বিয়ের পর অন্য বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা তিনি। আর সেখানকার বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী, যিনি বর্তমানে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক বলে পরিচিত। এমনকী কালীঘাটও তাঁর হাল-হকিকতের খবর রাখে। তো সেই করিম চৌধুরীর অনুগামী হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আজিনা বেগম। দলে ফের ফিরতে পারবেন না জেনেও শেষদিনেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন না তিনি।
গত বারের পঞ্চায়েত ভোটে জিতে আজিনা বেগম উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের (ZP) সদস্য হয়েছিলেন। তিনি ইসলামপুরের 'বিদ্রোহী' বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে করিম চৌধুরীর হয়ে প্রচার করেন। তারপরই কার্যত তাঁর 'গুড বুকে' ঠাঁই পেয়েছেন চোপড়ার (Chopra)বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে। এবার তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজের অনুগামীদের নিয়ে একটি প্রার্থী তালিকা তৈরি করেন করিম চৌধুরী। কিন্তু সেই তালিকা মান্যতা পায়নি শীর্ষ নেতৃত্বের। বরং জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালের প্রার্থীদেরই মান্যতা দিয়েছেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ফলে তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়াতে পারেননি করিম চৌধুরী অনুগামী আজিনা বেগম। তিনি স্কুলঘর প্রতীক নিয়ে শেষপর্যন্ত নির্দলের হয়েই লড়বে বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে বিষয়টি নিয়ে সেভাবে মুখ খুলতে চাননি আজিনা বেগম।
[আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যের অভিযোগ, পরিবহণ দপ্তরের সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হাই কোর্টে]
মেয়ের এহেন আচরণে অবশ্য বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছেন না বিধায়ক বাবা হামিদুল রহমান। তিনি বলছেন, ''মেয়ের এখন বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তার শ্বশুরবাড়ি কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা নিয়ে আমি তো কিছু বলতে পারি না।'' করিম চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ''আমাকে ২০২১ এ বিধানসভা ভোটে এরা সবাই আমার হয়ে প্রচার করেছে। আমার তৈরি প্রার্থী তালিকায় এদের নাম ছিল। কিন্তু কাউকে প্রতীক দেয়নি দল। তাই এরা সকলে নির্দল হয়ে লড়ছে।'' আর দলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলছেন, সবাইকে বলা হয়েছে, তৃণমূলে থেকে যারা নির্দলের হয়ে লড়েছেন তাঁদের বারবার অনুরোধ করেছি, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিন। নইলে দলে কিন্তু পরে আর জায়গা হবে না।''