অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: ওসি এবং বিডিও’র সামনেই পঞ্চায়েত প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ।বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গি ব্লকের খয়রামারী গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পঞ্চায়েত প্রধান সেলিনা বিবি’র অভিযোগ, তিনদিন আগে পঞ্চায়েতের সচিব ও সদস্যরা মিলে বিডিও’র কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন যে, পঞ্চায়েতের জিনিসপত্র বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন তিনি। ওই বিষয়ের তদন্তে বৃহস্পতিবার বিডিও শোভন দাস ও সাগরপাড়া থানার ওসি বিশ্বজিৎ হালদার পঞ্চায়েতে আসেন। সেখানে সেলিনাকেও ডাকা হয়। প্রধানের অভিযোগ, সেখানে যাওয়া মাত্র বিজেপি কংগ্রেস ও সিপিএমের (CPM) দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর চড়াও হয়। ও মারধরও করা হয়।
[আরও পড়ুন: অসম থেকে বাংলায় আসছে ২০টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, বিনিময়ে রাজ্য দেবে বাইসন, গণ্ডার, হাতি]
দলের প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খয়রামারী অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ঝন্টু বিশ্বাস। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত গঠনের পর থেকেই নানান দুর্নীতি করেছেন ওই প্রধান। নিষেধ করলেও শোনেননি। এমনকী পঞ্চায়েতের এক্সিউটিভ-সহ অন্যান্যদের মারধরও করেছেন। শুধু তাই নয় গত নির্বাচনে দলের বিরোধিতা করেছেন। যে কারণে পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থার কাগজ জমা দিয়েছেন।”
তবে প্রধানের দাবি ঝন্টু বিশ্বাস দলের কেউ নন। ওঁরা বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে মিশে অশান্তি করছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও শোভন দাস বলেন, “এলাকার মানুষ ওই প্রধানের উপর ক্ষুব্ধ। পঞ্চায়েতে যেতেই তাঁরা উগ্র হয়ে ওঠেন। ওসি এবং আমি মিলে পরিস্থিতি সামলে প্রধানকে গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি।” প্রধানের স্বামী রফিকুল ইসলাম জানান, “মারধরের ফলে প্রধান অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।” জলঙ্গির বিধায়ক তৃণমূল নেতা আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল জানান, “দলের নেতারাই ওই প্রধানের সঙ্গে নেই, তা জেনেও কেন ওই পদ আঁকড়ে বসে আছে বুঝতে পারছি না।”