সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছে দেড় বছরেরও বেশি সময়। গোটা বিশ্বেই কোভিড (COVID-19) সংক্রমণের গ্রাফ কখনও বেড়েছে। কখনও কমেছে। কিন্তু আতঙ্ক অব্যাহতই রয়েছে। মুক্তি মেলেনি করোনার থাবা থেকে। কবে শেষ হবে করোনা অতিমারী? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়ে চলেছে সকলেরই মনে। এই পরিস্থিতিতে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO জানিয়ে দিল, কবে এই অতিমারী শেষ হবে তা বিশ্ববাসীর হাতেই রয়েছে। তাঁরা যখন চাইবেন তখনই শেষ হবে এই ঘোর করোনা কাল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন, করোনার সঙ্গে লড়তে হলে যা যা দরকার তা সবই মানুষের হাতে রয়েছে। তাঁর মতে, ‘‘আমরা পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারি। সেই সঙ্গে চিকিৎসা।’’ তিনি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ৪০ লক্ষ সংক্রমণের কথা জানা গিয়েছে সারা বিশ্বে। এভাবে চললে আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই যে সংক্রমণ ২০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে, তেমনই আশঙ্কা ‘হু’ প্রধানের। বাড়ছে মৃত্যুও। এর মধ্যে আফ্রিকায় মৃত্যুহার ৮০ শতাংশ বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: চিনে ফের চোখ রাঙাচ্ছে Coronavirus! বেজিং-সহ ১৫ শহরে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ]
করোনা যে শুরু থেকেই নাগাড়ে রূপ বদলে নতুন করে বিপদ বাড়াচ্ছে তা মনে করিয়ে তিনি জানান, এই মুহূর্তে ডেল্টা স্ট্রেনই সংক্রমণ বাড়ানোর পক্ষে প্রধানত দায়ী। অন্তত ১৩২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি। কেন এই স্ট্রেনটি এত দ্রুত ছড়াচ্ছে তা বুঝতে বিশ্বজুড়ে WHO বিশেষজ্ঞরা আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) সিডনির পরে এবার লকডাউনের পথে হাঁটল ব্রিসবেনও। দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন ছাড়া আর রাস্তা নেই বলেই মনে করছে প্রশাসন। তবে সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, টিকাকরণ ৭০ শতাংশ ছাড়ালে তখন পরিস্থিতি বিচার করে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে। এদিকে লকডাউনের বিরোধিতায় গত সপ্তাহ থেকেই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে সিডনিতে। সেই প্রতিবাদ সামলাতে শহরে অন্তত ১ হাজার পুলিশ অফিসার নিযুক্ত রয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের প্রতিবাদ মিছিল থেকে ৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।