সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্যার আর শেষ নেই ইমরান খানের (Imran Khan)। সদ্যই পাক সংসদের নিম্নকক্ষে আস্থা ভোটে জিততে পারলেও ক্রমশই মসনদ টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে উঠছে তাঁর। এরই মধ্যে নতুন বিপদ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) ১ বিলিয়ন তথা ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের বোঝা। যে ঋণ শোধ করার ‘ডেডলাইন’ শুক্রবার অর্থাৎ ১২ মার্চ। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাক প্রশাসনের অন্দরে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানে জমা রাখা হয়েছিল ওই পরিমাণ টাকা। অবশেষে সেই ঋণের মেয়াদ উত্তীর্ণ হচ্ছে শুক্রবারই। এর আগেই একাধিক বার আবু ধাবির কাছে আরজি জানিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। চেষ্টা করা হয়েছিল যুবরাজ মহম্মদ বিন জায়েদের কাছে তদ্বির করার। অন্তত আরও কিছুটা সময় চাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বারবার জানানো হয়েছে, ওই বিপুল পরিমাণ অঙ্কের অর্থ ফেরত দিতে হলে তা দেশের অর্থনীতিতে ভয়ানক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু যাবতীয় অনুরোধের পরেও গলেনি বরফ। এখনও পর্যন্ত কোনও সদর্থক সাড়া মেলেনি আরব আমিরশাহীর তরফে।
[আরও পড়ুন: এবার শ্রীলঙ্কায় তৈরি হল বিজেপি! তামিল ব্যবসায়ীর হাত ধরে দ্বীপরাষ্ট্রে গঠিত সংগঠন]
পাকিস্তানের অর্থনীতি ইতিমধ্যেই গভীর সংকটে। ২০১৯ অর্থবর্ষে যেখানে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ১.৯ শতাংশ, সেখানে ২০২০ অর্থবর্ষে তা আরও কমে চলে গিয়েছে ঋণাত্মক অবস্থানে। -১.৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে তথৈবচ অবস্থা ইসলামাবাদের। আসলে এমনিতেই ঝিমিয়ে পড়া পাক অর্থনীতিকে আরও ধাক্কা দিয়েছে কোভিড পরিস্থিতি। অতিমারীর (Pandemic) প্রকোপে আর মাথা তুলে দাঁড়ানোর পরিস্থিতি খুঁজে পাচ্ছে না তারা। কয়েক মাস আগে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ৫ জনের মধ্যে ৪ জন পাকিস্তানি অর্থাৎ ৮৩ শতাংশ মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে অতিমারীর ছোবলে। হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এবার সেই অবস্থাতেই ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বোঝায় নিঃসন্দেহে আরও বেকায়দায় ইমরান প্রশাসন।