সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কার যে পরিস্থিতি হয়েছিল, সেই পথেই কি হাঁটছে পাকিস্তান (Pakistan)? ক্রমশই আর্থিক সংকটে ডুবছে ইসলামাবাদ। এবার কাগজ সংকটে সেদেশে বন্ধ হয়ে গেল পাঠ্যবই ছাপানো।
আগামী আগস্ট মাসেই শুরু হবে নয়া শিক্ষাবর্ষ। কিন্তু দেশে ক্রমেই বাড়ছে কাগজের সংকট। এই সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের সমস্ত পাঠ্যপুস্তক ছাপা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘অল পাকিস্তান পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’, ‘পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিন্টিং গ্রাফিক আর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ’ (পিএপিজিএআই)-সহ কাগজ ও মুদ্রণশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন।
[আরও পড়ুন: ৭ বছরের প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, দোষীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টেও]
এমন পরিস্থিতির জন্য সে দেশের সরকারের ‘ভুল নীতি’ দায়ী বলে অভিযোগ পাকিস্তানের কাগজ এবং মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের। পাকিস্তানের কোষাগার কার্যত গড়ের মাঠ। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার ঠেকেছে তলানিতে। ‘পুরানা পাকিস্তান’ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইমরান খানকে গদিচ্যুত করলেও সরকার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আর তাই এবার আয় বাড়াতে বৃহৎ শিল্প ও শিল্পপতিদের উপর ‘সুপার ট্যাক্স’ চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশকে আর্থিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএম) থেকে ঋণ নিতে চলেছে পাকিস্তান। এই মর্মে কথাবার্তাও কিছুটা এগিয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারী, অপশাসন ও ঋণের ভারে পাকিস্তানের অর্থনীতি কার্যত হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে। জোর ধাক্কা খেয়েছে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি। ফলে তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার। ফলে খাবার থেকে ওষুধ সবকিছুরই দাম ভয়ানক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের জোগান বজায় রাখতে সমস্ত ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিলাসী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে শাহবাজ শরিফের সরকার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হচ্ছে। আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়েছে, খরচে রাশ টেনে সরকারকে আয় বাড়াতে হবে। রাজস্ব ঘাটতিতে লাগাম টানতে হবে। তবেই তারা ৯০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর করবে।