রাজা দাস, বালুরঘাট: স্কুলের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করায় ছাত্রীকে শাস্তি দিয়েছিলেন। কান টেনে ধরেছিলেন শিক্ষিকা। আর তাতে ‘শাস্তি’র খাঁড়া নামল তাঁর উপর। স্কুলের স্টাফ রুমে ঢুকে ওই শিক্ষিকাকে প্রায় উলঙ্গ করে মারধরের অভিযোগ উঠল ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার ত্রিমোহিনী প্রতাপচন্দ্র উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় তোলপাড় এলাকা। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে স্কুলের তরফে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিদ্যালয়ে। আতঙ্কিত অন্যান্য শিক্ষিক-শিক্ষিকারাও।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। সূত্রের খবর, বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী জার্নাতুন খাতুন। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করছিল সে। তাকে শাস্তি দিতে তার কান টেনে দেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা (Teacher) চৈতালি চাকী। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। ছাত্রীর কথা শুনে তাঁর পরিবার থেকে লোকজন-সহ প্রতিবেশীরাও একসঙ্গে চড়াও হয় বিদ্যালয়ে। স্টাফ রুমে ঢুকে একপ্রকার নগ্ন করে মারধর করা হয় ওই শিক্ষিকাকে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা।
[আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা নীরব মোদির, হংকংয়ে ব্যবসায়ীর বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি]
শুক্রবার এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল কুমার জৈন’এর মধ্যস্ততায় মীমাংসা করতে আসেন ব্লক প্রশাসনের তরফে জয়েন্ট বিডিও (BDO)এবং জেলা স্কুল পরিদর্শক। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুক্রবার প্রতাপচন্দ্র উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। ব্লক প্রশাসনের উপস্থিতিতে জেলা স্কুল পরিদর্শক (DI) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ে মধ্যস্থতা করেন। স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষিকাকে নগ্ন করে মারধরের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দীপঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে প্রধান শিক্ষককে।