সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে বয়ান দিতে চাননি। সেই ‘অপরাধে’ই অন্তঃসত্ত্বা কন্যাকে খুন করলেন তাঁর বাবা-মা। আদালতে যাওয়ার আগের দিনই শ্বাসরোধ করে নিজেদের কন্যাকে হত্যা করেন ওই দম্পতি। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। জেরার মুখে নিজেদের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছেন মুজঃফরপুরের বাসিন্দা ওই দম্পতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান মৃতা তরুণী। সেই সময়ে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয় রাহুল নামে ওই প্রেমিকের বিরুদ্ধে। দু’মাস পরে যুগলের খোঁজ পায় পুলিশ। তখন মৃতা তরুণী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সেই সময়েই ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয় রাহুলের বিরুদ্ধে। একাধিকবার জেল হেফাজতে পাঠানো হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ‘নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণিরাই দেশের উন্নয়নে গতি এনেছে’, বি২০ সম্মেলনে মন্তব্য মোদির]
গত ২৬ আগস্ট এই মামলায় মৃতার বয়ান দেওয়ার কথা ছিল। তার আগের দিনই মৃতার বাবা- মা সাফ জানিয়ে দেন, রাহুলের বিরুদ্ধেই বয়ান দিতে হবে। আদালতে দাঁড়িয়ে জানাতে হবে, রাহুল তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু বাবা-মার কথা শোনেননি ওই তরুণী। সাফ জানিয়ে দেন, শিখিয়ে দেওয়া বয়ান বলবেন না। সেই কথা শুনেই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন দম্পতি। কন্যার মৃতদেহ একটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার নির্দিষ্ট সময়ে আদালত ওই তরুণীকে আদালতে দেখতে না পেয়েই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপরেই গোটা ঘটনা জানতে পারে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। খুনের মামলা দায়ের করে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।